জালিয়াতির অভিযোগ অনির্বাণের বিরুদ্ধে

তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, এপ্রিলে অনির্বাণ উত্তরবঙ্গে আসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:২৫
Share:

আটক: অনির্বাণের গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

সাংসদ সন্ধ্যা রায়ের আপ্ত সহায়ক অনির্বাণ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে জালিয়াতি, প্রতারণার মতো অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে এক সংগঠনের নামে ফ্লেক্স তৈরি করেও তিনি প্রচার করেছিলেন বলে অভিযোগ। কলকাতা থেকে সাংসদ ও তৃণমূলের আইএনটিটিইউসি-র সভানেত্রী দোলা সেন ছাড়াও মেরিভিউ চা বাগানে তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অনির্বাণের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, এপ্রিলে অনির্বাণ উত্তরবঙ্গে আসেন। সঙ্গে কম করে ১০ জন ছেলে। দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং মেটিয়াবরুজের ছেলেদের নিয়ে তিনি বাগানে সমীক্ষা করতে এসেছেন বলে সকলকে জানান। পাহাড় এবং সমতলের একদল যুব নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। এর পরে তৃণমূলের ‘ক্যাজ়ুয়াল অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট লেবার ইউনিয়ন, ওয়েস্টবেঙ্গল’ নামের একটি সংগঠনের ফ্লেক্স নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরা শুরু করেন। সংগঠনের ঠিকানা হিসাবে খিদিরপুর, কোল ডক রোডের নাম লেখা হয়। নেতানেত্রীদের অনুমতি ছাড়াই ওই প্রচার চলছিল বলে অভিযোগ উঠছে।

তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, কলকাতার নম্বরের দু’টি গাড়ি নিয়ে অভিযুক্তরা ঘুরেছেন। একটিতে নীলবাতি ছাড়াও ভিআইপি এবং সাংসদ সন্ধ্যা রায়ের নামের বোর্ড ছিল বলে অভিযোগ। গাড়িগুলিকে খুঁজে বের করা হচ্ছে। মমতা ও অভিষেকের ছবি দেওয়া ব্যানার, ফ্লেক্স ঝুলিয়েই প্রতিটি সভা হয়েছে বলে অভিযোগ। সংগঠনটি আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত বলেও চা শ্রমিক থেকে বিভিন্ন সংস্থা, কারখানার শ্রমিকদের জানায় অনির্বাণ। আইএনটিটিইউসি’র দাবি, তৃণমূলের এমন নামে কোনও শাখা সংগঠন নেই। সাংসদ তথা তৃণমূলের আইএনটিটিইউসি দোলাদেবী জানিয়েছেন, ‘‘জালিয়াতি হয়েছে বলেই তো দলের নির্দেশে পুলিশ অভিযোগ করেছি।’’

Advertisement

জেলা আইএনটিটিইউসি-র নেতাদের একাংশের অভিযোগ, ‘‘নেত্রী ও যুব সভাপতির ছবি ব্যবহার করে টাকা তোলা হয়েছে কি না তাও পুলিশ দেখতে বলা হয়েছে।’’ ধৃতরা দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, মালদহ এবং শিলিগুড়িতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করেছে। বড় বড় হোটেলে, রিসর্টে রাত কাটিয়েছে। কয়েকজন ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলেছে। এই ঘটনায় শাসক দলের স্থানীয় কয়েকজন যুব নেতার নামও উঠে এসেছে। দার্জিলিং জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, সমস্ত অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন