আদিবাসী সমাজের অভিযোগ শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:১৯
Share:

আলোচনা: আদিবাসী নেতাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোটের আগে আদিবাসীদের অভাব-অভিযোগ শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে আদিবাসী সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’-এর নেতাদের সঙ্গে নবান্নে ‘সৌজন্য বৈঠক’ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি তাঁদের মুখ থেকেই শোনেন নানা দাবি ও অভিযোগ। জঙ্গলমহলের স্থানীয় আদিবাসী জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কেও খোঁজ নিয়েছেন মমতা।

Advertisement

তৃণমূলের অন্দরের খবর, আদিবাসীদের ক্ষোভের কথা সম্প্রতি জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সাংসদ তৃণমূলের। তবে নবান্নের নির্দেশে সাংসদ সম্পর্কে আদিবাসীদের ক্ষোভের কারণ জানতে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে রিপোর্টও তলব করা হয়। এর পরেই এ দিন আদিবাসী নেতাদের নবান্নে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের আগে আদিবাসী নেতাদের এ ভাবে নবান্নে ডেকে কথা বলাকে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনীতিকদের একাংশ। সরকারি তরফে একে সৌজন্য বৈঠকই বলা হচ্ছে। এ দিনের বৈঠকের মধ্যস্থতায় ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি।

বিকেল চারটে থেকে ঘণ্টাখানেক নবান্নে নিজের ঘরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন সংগঠনের শীর্ষনেতা (দিশম পারগানা) নিত্যানন্দ হেমব্রম, মুখপাত্র রবিন টুডু-সহ ৯ জন প্রতিনিধি। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন, কোনও বিষয়ে ক্ষোভ থাকলে তাঁরা যেন সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এ দিনের বৈঠকে সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসীরা নেতারা সাঁওতালি মাধ্যম স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান। সব দাবি শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোট মিটলেই সব দাবি খতিয়ে দেখা হবে বলে আদিবাসী নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

Advertisement

নিত্যানন্দবাবু বলেন, ‘‘সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা ও দাবিগুলির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি।” আর ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিতবাবু বলছেন, “আদিবাসী নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খুব খুশি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আদিবাসী নেতাদের কাছ থেকে সাঁওতালি ভাষাও শেখেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন