যানজটে ক্ষুব্ধ মমতা

পুলিশেরই একটি অংশের বক্তব্য, অনুষ্ঠানে ভিড় হবে তাঁরা জানতেন। তা সামলাতে উত্তরবঙ্গের সমতলের বিভিন্ন অঞ্চলের থানা থেকে তো বটেই, পুলিশ আনা হয়েছিল এমনকি বারাসত, মুর্শিদাবাদের মতো দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন থানা থেকেও। কিন্তু তাঁরা পাহাড়ের রাস্তা সম্পর্কে অনভিজ্ঞ। তাতেই সবটাই আরও জটিল হয়ে গিয়েছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৮ ০৪:০১
Share:

প্রণাম: মঞ্চে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কালিম্পঙে। নিজস্ব চিত্র

মঙ্গলবার ১৫টি উন্নয়ন বোর্ডের অনুষ্ঠানে কালিম্পং শহর ও তার আশপাশের এলাকার যান চলাচল যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, সে কথা এ দিন মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, ‘‘কাল (মঙ্গলবার) যানজট বেশি হয়েছিল। আমাদের তো পর্যটকদের কথা মাথায় রাখতে হবে।’’

Advertisement

কথা হচ্ছিল কালিম্পঙে থানা বাড়ানো নিয়ে। তখনই এই মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী জেলা পুলিশকে বুঝিয়ে দেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা এবং পরিকল্পনা নিয়ে কাজে নামা দরকার। বস্তুত, ওই অনুষ্ঠান থেকে দার্জিলিঙে ফিরতে অনেকের বুধবার সকাল হয়ে গিয়েছে বলেও পুলিশের কাছে খবর। পুলিশেরই একটি অংশের বক্তব্য, অনুষ্ঠানে ভিড় হবে তাঁরা জানতেন। তা সামলাতে উত্তরবঙ্গের সমতলের বিভিন্ন অঞ্চলের থানা থেকে তো বটেই, পুলিশ আনা হয়েছিল এমনকি বারাসত, মুর্শিদাবাদের মতো দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন থানা থেকেও। কিন্তু তাঁরা পাহাড়ের রাস্তা সম্পর্কে অনভিজ্ঞ। তাতেই সবটাই আরও জটিল হয়ে গিয়েছে।

পাহাড়ে পর্যটকদের দুর্দশা অবশ্য বুধবারেও পুরোপুরি কাটেনি। এ দিন ছিল ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের প্রথম দিন। এই ধর্মঘটে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গে এটিএমের নিরাপত্তারক্ষীরাও যোগ দিয়েছেন। ফলে দুপুরের মধ্যে কালিম্পং শহরের সব এটিএমে ঝাঁপ পড়ে যায়। ধর্মঘট চলবে বৃহস্পতিবারও। ফলে এই দু’দিন কী ভাবে চলবে, তাই ভেবে এখন মাথায় হাত পর্যটকদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement