পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
রামনবমীর মিছিল ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে নিহত ১৬ বছরের ছেলের দেহের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘কোনও প্রতিহিংসা নয়। প্রতিশোধ নিতে আর কারও মৃত্যু হলে আমি শহর ছেড়ে চলে যাব।’’
আসানসোলের নুরানি মসজিদের সেই ইমাম মৌলানা ইমদাদুল রশিদি-কে আজ কুর্নিশ জানালেন রাহুল গাঁধী।
কংগ্রেস সভাপতির যুক্তি, ইমাম রশিদির বার্তাই প্রমাণ করে, ভারতে ভালবাসা চিরকালই ঘৃণাকে হারিয়ে দেবে। এই সূত্র ধরেই আজ আরএসএস-বিজেপিকে ফের নিশানা করেছেন রাহুল। তাঁর যুক্তি, ‘‘কংগ্রেসের ভিতও করুণা ও পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের উপর টিকে রয়েছে। আমরা ঘৃণা ছড়ানো আরএসএস-বিজেপির চিন্তাধারাকে জিততে দেব না।’’
আসানসোলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ইমাম রশিদির সদ্য মাধ্যমিক দেওয়া ছেলে সিবতুল্লা খুন হন। সেই ঘটনার পরে ইমাম রশিদি বলেছিলেন, ‘‘আমি শান্তি চাই। কেন ছেলের মৃত্যু, তা জানতে চাই না। আমি চাই না যে আর কারও পরিবার তার ছেলেকে হারাক। তোমরা যদি আমাকে ভালবাসো, তা হলে কেউ আঙুলও তুলবে না।’’
আসানসোলের ইমামি রশিদির সঙ্গেই রাহুল কুর্নিশ জানিয়েছেন, দিল্লির যশপাল সাক্সেনাকে। রাজধানীর রঘুবীর নগরের বাসিন্দা যশপালের ২৩ বছরের ছেলে অঙ্কিত ফেব্রুয়ারি মাসে খুন হন। অভিযোগ, যে মুসলিম তরুণীকে অঙ্কিত বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, তাঁর পরিবারের লোকেরাই তাঁকে খুন করে। ওই ঘটনার পরেই যশপাল বলেছিলেন, ‘‘মুসলিমদের প্রতি আমার কোনও ঘৃণা নেই। কোনও ধর্ম নিয়েই আমার কোনও অভিযোগ নেই। আমার ছেলের খুনিরা মুসলমান মানেই সব মুসলমান খুনি নন।’’
আজ রাহুল গাঁধী ট্যুইট করে বলেছেন, ‘নিজের ছেলেদের হারিয়েও যশপাল সাক্সেনা এবং ইমাম রশিদির বার্তা প্রমাণ করে, ভারতে চিরকাল ভালবাসাই হারিয়ে দেবে ঘৃণাকে।’’