হাসিনার সঙ্গে কি কথা হবে মমতার

শুক্রবার শান্তিনিকেতনের সরকারি সফরসূচিতে মমতার সঙ্গে হাসিনা বা মোদীর মুখোমুখি বৈঠকের কোনও কর্মসূচি এখনও পর্যন্ত নেই। সরকারি সূত্রের খবর, শুক্রবার শেখ হাসিনাকে রাজভবনে নৈশভোজে আপ্যায়িত করছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজ্যের দুই শীর্ষ মন্ত্রী ভোজসভায় যাচ্ছেন বলে রাজভবনকে জানিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৮ ০৫:৫৭
Share:

শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনে নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনার একান্ত বৈঠকের সময় ৫০ মিনিট থেকে বেড়ে এক ঘণ্টায় দাঁড়াল। শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের পরে বাংলাদেশ সরকারের অর্থে তৈরি এই ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধন করার কথা দুই পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার কোনও সম্ভাবনা থাকছে কি?

Advertisement

শুক্রবার শান্তিনিকেতনের সরকারি সফরসূচিতে মমতার সঙ্গে হাসিনা বা মোদীর মুখোমুখি বৈঠকের কোনও কর্মসূচি এখনও পর্যন্ত নেই। সরকারি সূত্রের খবর, শুক্রবার শেখ হাসিনাকে রাজভবনে নৈশভোজে আপ্যায়িত করছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজ্যের দুই শীর্ষ মন্ত্রী ভোজসভায় যাচ্ছেন বলে রাজভবনকে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বুধবার রাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে রাজভবন কোনও সাড়া পায়নি।

শনিবার আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাসিনাকে সাম্মানিক ডি লিট দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু মমতা আসানসোল যাচ্ছেন না। এই খবর পাওয়ার পরে তড়িঘড়ি নতুন আমন্ত্রণপত্র ছেপেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগের আমন্ত্রণপত্রে শেখ হাসিনা, রাজ্যপাল ত্রিপাঠীর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নাম ছিল। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যত দূর জানি, ওখানে যাওয়ার কোনও কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রীর ছিল না।’’

Advertisement

পুরনো আমন্ত্রণপত্র।

ঘণ্টা চারেক শান্তিনিকেতনে থাকবেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ব্যস্ততার জন্য সমাবর্তনের সূচনা লগ্নের নানা প্রথাগত অনুষ্ঠান এ বার বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। ঠিক হয়েছে, বক্তৃতা শেষ করেই দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ভবনে রওনা হবেন। মুখ্যমন্ত্রীরও যাওয়ার কথা। প্রথম সফরসূচিতে সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের জন্য ৫০ মিনিট রাখা হয়েছিল। কিন্তু দু’দেশের বিদেশ মন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর আলোচনার পরে সেই সময় আরও বেড়েছে। নতুন সফরসূচি অনুযায়ী বেলা একটা থেকে দুটো পর্যন্ত একান্ত বৈঠক করবেন মোদী ও হাসিনা, বাংলাদেশে বছর শেষে নির্বাচনের আগে যা তাৎপর্যপূর্ণ।

নতুন আমন্ত্রণপত্র।

সূত্রের খবর, শান্তিনিকেতনে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকটি হবে একান্তে। দু’দেশের কোনও অফিসারও সেখানে থাকবেন না। তবে লিখিত সফরসূচির বাইরে আলোচনার কোনও স্তরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে নেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কূটনীতিকেরা। তাঁদের কথায়, তিস্তা থেকে রোহিঙ্গা— দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ জড়িত। সে ক্ষেত্রে ছকের বাইরে গিয়ে মোদী-হাসিনার আলোচনায় মমতাকে ডেকে নেওয়া হবে কি না, নিশ্চিত ভাবে তা বলা কঠিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন