State News

‘হ্যাঁ, আলিশবাকে চিনতাম’, পুলিশি জেরায় স্বীকার করলেন শামি

শামিকে লালবাজারে তলব করে আগেই নোটিশ পাঠিয়েছিল পুলিশ। শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে এসে উঠেছিলেন শামি। বুধবার দুপুরে সেখান থেকেই নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে লালবাজারের পৌঁছন তিনি। তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তাও দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:৩৩
Share:

এএফপি-র তোলা ফাইল চিত্র।

হাসিন জাহানের সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করলেন মহম্মদ শামি এবং তাঁর দাদা মহম্মদ হাসিব।

Advertisement

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠীর কাছে তাঁদের দাবি, শামি এবং শামির পরিবারকে ফাঁসাতে চাইছেন হাসিন। শামি এবং হাসিবকে প্রথমে উইমেন্স গ্রিভেন্স সেল-এর আধিকারিকেরা ডিসি ডিডি নীলু শেরপা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক দফা জেরা করেন। এর পর গোয়েন্দা প্রধানের ঘরে দুই ভাইকে একসঙ্গে বসিয়ে শুরু হয় পরের দফা। দুবাইতে শামি কার কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সে বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। হাসিনের অভিযোগ ছিল, দুবাইতে আলিশবা সঙ্গে দেখা করেছিলেন শামি। সেখানে টাকার লেনদেনও হয়। জেরার শামির দাবি, আলিশবাকে তিনি চেনেন। এক বন্ধুর অনুরোধেই তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন তিনি। তবে আলিশবার সঙ্গে কোনও রকমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন শামি। শামির দাদাও তাঁর বিরুদ্ধে তোলা ধর্ষণের অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “দু’জনেরই বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। হাসিনের রেকর্ড করা বক্তব্য আমরা শামি এবং শামির দাদাকে শুনিয়েছি। আমরা তাঁদের বক্তব্য খতিয়ে দেখছি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে এখনও আসেনি।”

ফের দু’জনকেই জেরার জন্য তলব করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান।

Advertisement

লালবাজারে ঢুকছেন মহম্মদ শামি। দেখুন ভিডিও

বুধবার পৌনে ২টো নাগাদ লালবাজারে ঢোকেন শামি। শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে এসে উঠেছিলেন শামি। এ দিন দুপুরে সেখান থেকেই নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে লালবাজারের পৌঁছন তিনি। তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তাও দেওয়া হয়। জেরা চলে বিকেল সওয়া ৫টা পর্যন্ত। অন্য দিকে, শামি পৌঁছনোর দু’ঘণ্টা আগেই লালবাজারে পৌঁছন তাঁর দাদা হাসিব। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকেও।

তবে মহম্মদ শামিকে জেরা করার আগেই তাঁর দাদা মহম্মদ হাসিবকে জেরা শুরু করে গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার শামিকে সমন করার আগেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল হাসিবকে। এ দিন দুপুর ১২টায় লালবাজারে পৌঁছন হাসিব। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টে। সেখানে ডিসি ডিডি নীলু শেরপা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে গোয়েন্দারা তাঁকে জেরা শুরু করা হন।

হাসিন জাহানের করা অভিযোগে, শামির দাদাই প্রধান অভিযুক্ত। হাসিন তাঁর বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। এর আগে কলকাতা পুলিসের দল উত্তরপ্রদেশে তদন্তে গেলে, গা-ঢাকা দিয়েছিলেন হাসিব।

আরও পড়ুন
মহম্মদ শামিকে এ বার লালবাজারে ডেকে পাঠালেন গোয়েন্দারা

সোমবার আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলতে মহম্মদ শামি কলকাতায় পা রাখার পরই স্ত্রী হাসিন জাহান মুখ খুলেছিলেন। কলকাতায় আসার পরেও পুলিশ কেন মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তার পর মঙ্গলবার সকালেই মহম্মদ শামিকে জি়জ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল লালবাজার। টিম হোটেলে শামিকে নোটিস দেওয়া হয় টিম ম্যানেজারের হাতে। সূত্রের খবর, লালবাজারে যাওয়ার সময় শামির গাড়ির নিরাপত্তা বিষয়টিও নজরে রাখা হয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে শামিকে গ্রেফতার করার কোনও পরিকল্পনা নেই পুলিশের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন