শিক্ষায় গৈরিকীকরণ নিয়ে সরব পুরাণবিদ

উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ (সিবিসিএস)-এর যে পাঠ্যক্রম পাঠিয়েছে সেখানে ইংরেজি অনার্সের প্রথম পত্রেই রয়েছে ‘প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৪০
Share:

নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষায় গৈরিকীকরণের অভিযোগ তুললেন পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনও। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ (সিবিসিএস)-এর যে পাঠ্যক্রম পাঠিয়েছে সেখানে ইংরেজি অনার্সের প্রথম পত্রেই রয়েছে ‘প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য’। ওই পত্রেই সংস্কৃত ভাষায় অভিজ্ঞান শকুন্তলম, মহাভারতের সভা পর্ব ও উদ্যোগ পর্বের অংশ এবং শূদ্রকের মৃচ্ছকটিকম পড়তে হবে পড়ুয়াদের।

Advertisement

ইংরেজি শিক্ষকদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন যাঁরা ইংরেজি পড়ান তাঁরা তো সংস্কৃত জানেন না। তাহলে পড়াবেন কারা? বহু কলেজেই সংস্কৃত বিভাগ নেই। সেক্ষেত্রেও বা কী হবে?

আপত্তি তুলেছেন পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িও। তাঁর প্রশ্ন, যে পড়ুয়া ইংরেজি নিয়ে অনার্স পড়ছেন তিনি কেন সংস্কৃত পড়তে যাবেন? যদি মহাভারতের অংশই পড়ানো হয় তাহলে কোরান, বাইবেলও পড়ানো হবে না কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। নৃসিংহবাবুর কথায়, ‘‘আমার আশ্চর্য লাগছে যে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়টি মেনেও নিয়েছে। আমি মন্ত্রীকে জানিয়েছি, কারণ শিক্ষা যৌথ তালিকাভুক্ত। তাই রাজ্যের সেখানে অংশ নেওয়া উচিত। ইউজিসি এ ভাবে কোনও কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না।’’

Advertisement

শিক্ষক সংগঠন আবুটার যুগ্ম সম্পাদক গৌতম মাইতির দাবি, শিক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকার বহু দিন ধরেই গৈরিকীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা তার একটা নির্লজ্জ প্রকাশ। তাঁর কথায়, ‘‘এর বিরোধিতা আমরা আগেও করেছি। আবারও করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন