পত্নী হাসিন জাহানের সঙ্গে শামি। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামির উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে গিয়ে মোট ছ’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
শামি-পত্নী হাসিন জাহানের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই এই ভারতীয় ক্রিকেটার ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ (বধূ নির্যাতন), ৩২৩ (আঘাত করা), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩৭৬ (ধর্ষণ)। ৫০৬ (হুমকি দেওয়া), ৩২৮ (বিষ প্রয়োগ) এবং ৩৪ (একই উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে কাজ করা) ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই মামলায় অভিযুক্ত শামির মা, দাদা, বৌদি ও বোনকে সোমবার কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল জিজ্ঞাসাবাদ করে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশে শামির প্রতিবেশী আরও তিন সাক্ষী মহম্মদ শাকিব পাসা, মহম্মদ হাসনান এবং মহম্মদ ইমরানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাপ্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী বলছেন, ‘‘ছ’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল উত্তরপ্রদেশ থেকে ফিরে আসছে। প্রয়োজনে ফের ওঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
এ দিন রাতে উত্তরপ্রদেশে থাকা হাসিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘‘ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে রয়েছি। শামির গ্রামে যাঁরা আমার পাশে থাকতে চান, তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ সহায়তা করলেও উত্তরপ্রদেশের পুলিশ তা করছে না। মঙ্গলবার সকালে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কথাই বলা গেল না। শ্বশুরবাড়ির পাশের গ্রামের প্রধান আশ্রয় দিয়েছেন। কিন্তু তাও নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।’’
হাসিনের সঙ্গে এই উত্তরপ্রদেশ গেলেও এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছেন তাঁর আইনজীবী জাকির হুসেন। তিনি বললেন, ‘‘মঙ্গলবার সারাদিনে হাসিনের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। ওর নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কিত পরিস্থিতিতে রয়েছি। কারণ, সঙ্গে ওর শিশুকন্যা আইরাও রয়েছে যে।’’
রবিবার মহম্মদ শামির উত্তরপ্রদেশের পৈতৃক বাড়িতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেও সফল হননি শামির স্ত্রী। কারণ, বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। হাসিন তালা ভেঙে ঢুকতে চাইলে স্থানীয় পুলিশ বাধা দেয়।
শামি এখন আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলছেন। লালবাজার সূত্রের খবর, আইপিএল শেষ হলেই শামিকে ফের ডাকা হতে পারে। লালবাজারের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘হাসিন তাঁর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করেছেন তা যথেষ্ট গুরুতর। হাসিনের অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রত্যেককে ধরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’