Panchayat Poll 2018

প্রয়াত প্রব্রাজিকা আত্মপ্রাণা

প্রব্রাজিকা আত্মপ্রাণা ছিলেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের সপ্তম প্রেসিডেন্ট স্বামী শঙ্করানন্দের শিষ্যা। স্বাধীনতা আন্দোলনেও তিনি যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে সিস্টার নিবেদিতা স্কুলে যোগ দেওয়ার সময় থেকেই রামকৃষ্ণ ভাবে দীক্ষিত হন তিনি।।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০৩:৪১
Share:

প্রব্রাজিকা আত্মপ্রাণা

রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের প্রবীণ সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা আত্মপ্রাণার জীবনাবসান হয়েছে। বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। রবিবার দিল্লির রামকৃষ্ণ সারদা মিশনে প্রয়াণ হয় তাঁর। ২০১০ থেকে কঠিন অ্যালঝাইমার্স রোগে ভুগছিলেন।

Advertisement

প্রব্রাজিকা আত্মপ্রাণা ছিলেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের সপ্তম প্রেসিডেন্ট স্বামী শঙ্করানন্দের শিষ্যা। স্বাধীনতা আন্দোলনেও তিনি যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে সিস্টার নিবেদিতা স্কুলে যোগ দেওয়ার সময় থেকেই রামকৃষ্ণ ভাবে দীক্ষিত হন তিনি। ১৯৬০ সালে শ্রী সারদা মঠের প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণার তত্ত্বাবধানে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন।

১৯৫৬ সাল থেকে নিবেদিতা স্কুলের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন প্রব্রাজিকা আত্মপ্রাণা। ১৯৬৮ থেকে ’৭০ সাল পর্যন্ত নিবেদিতা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তার পরে দিল্লির রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৭০ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সেই পদেই ছিলেন। ১৯৭৩ সাল থেকে ছিলেন শ্রী সারদা মঠের ট্রাস্টি এবং পরিচালন সমিতির সদস্যা। ১৯৮০ সাল থেকে শ্রী সারদা মঠের ইংরেজি জার্নাল ‘সম্বিৎ’এর সম্পাদকের দায়িত্বও সামলেছেন।

Advertisement

সংস্কৃতে ডক্টরেট প্রব্রাজিকা আত্মপ্রাণা ছিলেন সুলেখিকা। সিস্টার নিবেদিতাকে নিয়ে নিগূঢ় গবেষণা করেছেন। ইংরেজিতে প্রথম নিবেদিতার জীবনী লিখেছিলেন। সেই লেখার জন্য পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। নিবেদিতার সমস্ত কাজ নিয়ে একটি বইও প্রকাশ করেছিলেন ১৯৬৭ সালে।

ভারতীয় বিদ্যাভবন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী কে এম মুন্সির কন্যা ছিলেন প্রব্রাজিকা আত্মপ্রাণা। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল ছিলেন শ্রী মুন্সি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন