ফাইল চিত্র।
ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ কেন বাদ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে নির্বাচন দফতর নোটিস পাঠিয়েছিল। আইনজীবীর মাধ্যমে সে ব্যাপারে সময় চাইলেন রোশন গিরি।
সরকারি সূত্রের খবর, গত ২৩ মার্চ রোশন, তাঁর স্ত্রী বিদ্যা, বিমল গুরুঙ্গ, তাঁর স্ত্রী আশা ও তাঁদের দুই ছেলেমেয়েকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দার্জিলিঙের জেলা নির্বাচন দফতর। তাতে গুরুঙ্গের পরিবার নীরব থাকলেও রোশন পাহাড়ের এক আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে সময় চেয়েছেন। তবে গুরুঙ্গের একান্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মহিলা নেত্রী প্রেমা লামুর তরফেও গরহাজির সংক্রান্ত নোটিসের কোনও উত্তর মেলেনি বলে জেলা নির্বাচন দফতরের দাবি।
নির্বাচন দফতরের এক অফিসার জানান, পাহাড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। অনেককেই ঠিকানায় গরহাজির দেখে নোটিস দিয়েছে নির্বাচন দফতর। কেউ নোটিস পেয়ে সাড়া দিয়েছেন। আবার কারও তরফে কোনও সাড়াশব্দ নেই বলে নির্বাচন দফতরের সূত্রটি জানিয়েছে। দার্জিলিঙের নির্বাচন দফতরের এক অফিসার জানান, সব দিক খতিয়ে দেখেই প্রয়োজনে দীর্ঘ দিন ঠিকানায় গরহাজিরদের নাম বাদ দেওয়া হবে।
গত জুনে দার্জিলিঙে অবরোধ আন্দোলনের ডাক দেন গুরুঙ্গ। টানা ১০৫ দিনের বন্ধে পাহাড় অগ্নিগর্ভ হয়ে যায়। জুনেই গুরুঙ্গ ও রোশন সপরিবারে গা ঢাকা দেন। একাধিক মামলা দায়ের হয়। দু’জনে ফেরার হয়ে যান। দিল্লিতে দেখা মিললেও, পাহাড়ে দেখা যায়নি। ইতিমধ্যে পাহাড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। নানা এলাকা সমীক্ষা করে দীর্ঘ দিন গরহাজিরদের নোটিস পাঠিয়ে ডাকা হয়। সেই নোটিসই গিয়েছে দুই পরিবারের কাছে।