শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে
Kazi Nazrul University

হাসিনাকে স্বাগত, তৈরি শহর

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত অনুষ্ঠানসূচিতে জানানো হয়েছে, শনিবার ১১টা থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৮ ০৩:০৬
Share:

জোরকদমে: বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ব্যস্ত পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র

সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরুর আগে আর সময় বেশি নেই। তাতে যোগ দিতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই অনুষ্ঠান ঘিরেই আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কর্তৃপক্ষ তো বটেই, নানা কাজে হাত লাগিয়েছেন পড়ুয়ারাও। তবে আনন্দের পাশাপাশি তাঁদের আক্ষেপ, কাছ থেকে দেখা হয়তো হবে না প্রধানমন্ত্রীকে। কারণ, শনিবার, অনুষ্ঠানের দিন বেশির ভাগ পড়ুয়ারই প্রবেশাধিকার নেই।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত অনুষ্ঠানসূচিতে জানানো হয়েছে, শনিবার ১১টা থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা। তবে এর আগে যে অনুষ্ঠানসূচি প্রকাশ করা হয়, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় পরে ফের প্রকাশিত সূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথা লেখা হয়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।

এ সবের আগে বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, পেশাদারি বিশেষজ্ঞরা মঞ্চ ও অনুষ্ঠানস্থলের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করছেন। সভাঘরটি অস্থায়ী হলেও তা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশদ্বারেই দেখা গেল, পড়ুয়ারা প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে স্বাগত জানাতে বিশেষ কিছু বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর সাজানোর কাজ, তা-ও চলছে জোরকদমে। পড়ুয়ারা জানান, অনুষ্ঠানের শেষে প্রধানমন্ত্রী যে ঘরে বিশ্রাম নেবেন, শুক্রবার সেই ঘর, বারান্দা ও দেওয়ালে আলপনা আঁকা হবে। সুসজ্জিত বাহারি ফুলের টব দিয়ে সাজানো হবে তাঁর হেটে যাওয়ার রাস্তা। পড়ুয়াদের সঙ্গে ব্যস্ত উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। সাধনবাবু বলেন, ‘‘প্রত্যেককেই কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।’’ ছাত্র সংসদের সদস্য দীনেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘নাওয়াখাওয়া ভুলে প্রধান অতিথিকে বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানের প্রশ্ন। শহরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী-সহ সকলকেই স্বাগত জানাতে আমরা তৈরি।’’

Advertisement

তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, স্থানাভাবের কারণে ৪৪০ জন সম্মান প্রাপক ছাড়া বাছাই করা মাত্র ৩০ জন পড়ুয়া অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে পারবেন। ফলে প্রায় ১৩০০ পড়ুয়ার বেশির ভাগই ওই দিন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে মনখারাপ নিতিশা ভকত, শিপ্রা পাখিরা, সুষমা পালদের। তাঁদের কথায়, ‘‘খুবই খারাপ লাগছে, এমন এক জন ব্যক্তিত্বকে কাছে পেয়েও আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’’ যদিও পড়ুয়াদের সকলকেই যাতে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, সে জন্য উপাচার্যের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে বলে জানান ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আদর্শ শর্মা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন