প্রতীকী ছবি।
ভোটের সময় বহু স্কুল শিক্ষককে ভোটের কাজ করতে হয়। তার আগে তাঁদের বিশেষ তালিমও দেওয়া হয়। এ বার ভোটের আগেই শিক্ষকদের রয়েছে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক খাতা দেখার ব্যস্ততা। শিক্ষক মহলের মত, ১,৩,৫ মে পঞ্চায়েত ভোট। এক দিকে ভোটের তালিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অন্য দিকে পরীক্ষার খাতা দেখা। দু’টোই একসঙ্গে পড়ে যাওয়ায় অসুবিধার মধ্যে পড়বেন শিক্ষকেরাই।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে শিক্ষকেরা ইতিমধ্যে খাতা দেখা শুরু করে দিয়েছেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে ১১ এপ্রিল। তার পরে চলবে খাতা দেখা পর্ব। এবিটিএ-র সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য জানালেন, খাতা দেখা চলে প্রায় এক মাস ধরে। ভোটের ডিউটি করতে গেলে আগেভাগেই খাতা দেখে ফেলতে হবে। কিন্তু ভোটের ডিউটি করার জন্য প্রশিক্ষণও নিতে হয়। তাঁর প্রশ্ন, প্রধান পরীক্ষককে যদি প্রিসাইডিং অফিসার করা হয় তিনি দু’টো দায়িত্ব সমান ভাবে পালন করবেন কী ভাবে? প্রধান পরীক্ষকের খাতা দেখার বিষয়ে প্রচুর কাজ থাকে। তাঁর দাবি, ‘‘ভাবনাচিন্তা করে ভোটের দিন ফেলা উচিত ছিল।’’
পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির নেতা নবকুমার কর্মকার বলেন, ‘‘শিক্ষকদের উপরে প্রচুর চাপ পড়বে। এটা কখনই বাস্তবসম্মত নয়।’’ বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, খাতা পরীক্ষা, খাতা নিরীক্ষা (স্ক্রুটিনি)— এই সব কাজের পরে খাতা জমা দেওয়ার দিনক্ষণ এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের প্রথম দিকে পড়েছে। এর মধ্যে ভোটের জন্য প্রশিক্ষণ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছে না সরকার। পরীক্ষকদের ঠান্ডা মাথায় খাতা দেখার কাজটাই করতে দিতে চাইছে না।’’