স্ত্রী-ই পিস্তল দেয় খুনের জন্য, জানাল পুলিশ

পুলিশ জানায়, চন্দন এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। যে পিস্তলটি দিয়ে খুন করা হয়েছিল সমীরবাবুকে, বৃহস্পতিবার রাতে সেটি উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০২:০৬
Share:

মধুমিতা মিস্ত্রি।

স্বামীকে খুন করার জন্য প্রেমিকের হাতে পিস্তল তুলে দিয়েছিল নিহত শ্রমিক নেতার স্ত্রী মধুমিতা মিস্ত্রি। সোনারপুরে ট্যাক্সি ইউনিয়নের নেতা সমীর মিস্ত্রির খুনের তদন্তে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ৯ এপ্রিল সোনারপুরে নোয়াপাড়ার বাড়িতে রাতের খাবার খাওয়ার সময়ে আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয় ওই নেতার। বুধবার সমীরবাবুর স্ত্রী মধুমিতা ও তার প্রেমিক চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, সমীরবাবুকে খুনের ঘটনা কবুলও করেছে ধৃতেরা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, চন্দন এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। যে পিস্তলটি দিয়ে খুন করা হয়েছিল সমীরবাবুকে, বৃহস্পতিবার রাতে সেটি উদ্ধার হয়েছে। ওই রাতে নোয়াপাড়ায় সমীরবাবুকে খুন করার পরে ওয়ান শটার পিস্তলটি সোনারপুরে চাঁদমারি থেকে একটু দূরে একটি স্পোটিং ক্লাবের মাঠের কাছে এক পরিচিতের বাড়িতে একটি ব্যাগে রেখে দিয়েছিল চন্দন। পুলিশ জানায়, সেখান থেকেই পিস্তলটি পান তদন্তকারীরা। মধুমিতাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে ওই পিস্তলটি সমীরবাবুই বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। মধুমিতাই পিস্তলটি চন্দনকে দেয়।

বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, মাস তিনেক আগেই ওই পিস্তলটি চন্দনকে দিয়েছিল মধুমিতা। বৃহস্পতিবার রাতভর চন্দনকে জেরা করেন স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের দাবি, চন্দন জানিয়েছে, মধুমিতা সমীরবাবুকে খুন করার জন্য প্রতি দিনই তাকে চাপ দিত। এমনকী, ৯ তারিখ খুন না করা হলে তার সঙ্গে সর্ম্পক না রাখারও হুমকি দেয় মধুমিতা। ওই রাতে নিজের বাড়ির দরজা খোলা রাখবে বলেও তাকে জানিয়ে দিয়েছিল মধুমিতা। এর পরে সেই রাতেই সমীরকে খুন করে পিস্তলটি পরিচিত এক জনের বাড়িতে রেখে এসেছিল চন্দন। তবে পিস্তলটি চন্দন প্রথমে নিজের বাড়িতে এনেছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে সবিস্তার জানতে মধুমিতা ও চন্দনকে মুখোমুখি বসিয়ে ফের জেরা করা হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন