শিল্পপতি পবনকুমার রুইয়া। — ফাইল চিত্র।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনলাইনে মোট ৩১৭ কোটি টাকা প্রতারণার চক্র ফাঁস করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা। মঙ্গলবার পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, ১৪৮টিরও বেশি ভুয়ো সংস্থা বা শেল কোম্পানির সাহায্যে বিপুল পরিমাণ টাকা জালিয়াতির তদন্তে গত সপ্তাহেই বঙ্গের শিল্পপতি পবনকুমার রুইয়ার বাসভবন ও অফিসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশের একটি দল। তল্লাশি চালানো হয়েছে ব্যবসায়ীর আত্মীয় ও সহযোগীদের বাড়িতেও।
সোমবার রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়, প্রতারণার বিপুল পরিমাণ টাকা পবনকুমার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জড়িত একাধিক সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল’ (এনসিআরপি)-র তথ্য ঘেঁটে জানা যায়, দেশ জুড়ে প্রায় ১,৩৭৯টি অনলাইন প্রতারণার ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ওই ব্যবসায়ীর। এর পরেই পবনদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা। পবন ও তাঁর সহযোগীদের বাড়ি ও অফিসে দফায় দফায় তল্লাশি চালানো হয়। তদন্তকারীদের দাবি, পবন ও তাঁর পরিজনদের নামে অন্তত ১৪৮টি ভুয়ো সংস্থা (শেল কোম্পানি) রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সে সব সংস্থার অ্যাকাউন্টেই জমা রাখা হত সাইবার প্রতারণার টাকা।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, যাতে কারও সন্দেহ না হয়, তাই ওই টাকার বড়সড় অংশ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে মঙ্গলবার পুলিশের এক কর্তা বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির চোখ এড়াতে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বদলে ফেলা হয়েছিল।’’ ১৪৮টি ভুয়ো সংস্থার অসংখ্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ওই টাকা লেনদেন করা হয়েছিল। এই সংস্থাগুলির মধ্যে বেশির ভাগেরই ঠিকানা ছিল একটিই। পরবর্তীতে সেই টাকা আরও বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়।