Suvendu Adhikari and Police

পুলিশ কমিশনারকে শুভেন্দুর ‘কুমন্তব্য’! নিন্দা করতে সাংবাদিক বৈঠকে অনুব্রত-প্রশ্নে মেজাজ হারালেন পুলিশের ঘরনিরা

মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতা পুলিশের কর্মরত পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের স্ত্রীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৫ ১৮:৩৩
Share:

মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতা পুলিশের কর্মরত পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের স্ত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র।

‘নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচির শেষে পার্ক স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে বক্তৃতায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মাকে উদ্দেশ করে ‘কুমন্তব্য’ করেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে ওই মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়। ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আবাসিক মহিলা বৃন্দ’ এবং ‘কলকাতা পুলিশ আবাসিক মহিলা বৃন্দ’-এর তরফে ডাকা ওই সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতা পুলিশে কর্মরত পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের স্ত্রীরা। সেখানে শুভেন্দুর মন্তব্যের নিন্দা করার পর প্রশ্ন ওঠে বীরভূম জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে, বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে যে ভাবে কটু কথা বলে তাঁর মা ও স্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন অনুব্রত, তা কি সমর্থন করেন পুলিশের স্ত্রীরা?

Advertisement

সংগঠনের সদস্য সালমা সুলতানা বলেন, ‘‘তখনও আমরা সাংবাদিক বৈঠক করে অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যের নিন্দা করেছিলাম। কসবা থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলাম।’’ এমন জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ওঠে, অনুব্রত বোলপুর থানার আইসিকে কটু কথা বললেন আর সেই অভিযোগ কলকাতা পুলিশের অধীন কসবা থানায় কেন জানানো হল? এমন প্রশ্নের স্পষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেননি ওই মহিলারা। সে সময়ে একের এক প্রশ্নের জবাবে মেজাজ হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সাংবাদিক বৈঠক শেষ করে দেন ওই মহিলারা। তবে, একটি লিখিত বিবৃতি করে প্রকাশ করে তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে মিছিল থেকে যে ভাবে পুলিশ কর্মচারীদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে তার নিন্দা জানানো হচ্ছে। বিশেষ করে কনস্টেবল প্রশান্ত পোদ্দারের মাথায় মেরে তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে। এই ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছেন, তাঁদের সকলের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতা আদালতের রক্ষাকবচের দৌলতে এই ধরনের ঘটনা ক্রমাগত ঘটিয়ে চলেছেন বলে তাঁদের অভিযোগ।

হুগলির পাণ্ডবেশ্বরে কন্যা সুরক্ষা যাত্রা করতে গিয়ে পুলিশ-ঘরনিদের যাবতীয় অভিযোগের জবাব দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকের ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল ভবানী ভবনে। আর এই সাংবাদিক বৈঠক ডাকার ব্যাপারে মাথা কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান শান্তনু সিংহ বিশ্বাসের। কালীঘাট থানার এই প্রাক্তন ওসি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির লোক বলেই নিজেকে জাহির করেন। সব কিছুর পিছনে শাসকদল তৃণমূলের ইন্ধন রয়েছে, যার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। কোথা থেকে কী করা হয়েছে, সবই আমরা জানি। সময়মতো সব কিছু প্রকাশ করে দেব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement