Maha Kumbh Stampede 2025

মহাকুম্ভে গিয়ে আর ফেরা হল না শালবনির বৃদ্ধার! প্রয়াগরাজে গিয়ে দেহ শনাক্ত করল পরিবার

বুধবার সকালে প্রয়াগরাজের মতিলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজের মর্গে গিয়ে তাঁর দেহ শনাক্ত করেছেন পরিবারের সদস্যেরা। পরিবারের দাবি, মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই বৃদ্ধার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪১
Share:

(বাঁ দিকে) কুম্ভে দুর্ঘটনার পরের দৃশ্য। মৃতা ঊর্মিলা ভুঁইয়া (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন। পুণ্যস্নানের পর ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর ফেরা হল না মেদিনীপুরের বৃদ্ধার! অপূর্ণ রয়ে গেল পুণ্যস্নানের সাধও।

Advertisement

বুধবার সকালে প্রয়াগরাজের মতিলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজের মর্গে গিয়ে তাঁর দেহ শনাক্ত করেছেন পরিবারের সদস্যেরা। পরিবারের দাবি, মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থানার গোদাপিয়াসাল কাছারি রোডের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার। মৃতার নাম ঊর্মিলা ভুঁইয়া (৭৮)। চলতি সপ্তাহেই খড়্গপুর নিবাসী মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন ঊর্মিলা। কুম্ভমেলায় পৌঁছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু পুণ্যস্নান আর হল না! তার আগেই বুধবার ভোরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। উত্তরপ্রদেশ সরকারের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর দেহ আনা হবে খড়্গপুর শহরে। সেখান থেকে শালবনির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ।

সোমবার বিকেলে খড়্গপুর স্টেশন থেকে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ঊর্মিলা। সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুরের কৌশল্যার বাসিন্দা জামাই কমল মাইতি। ছিলেন কমলের স্ত্রী ও মা-সহ মোট সাত জন। মঙ্গলবারই প্রয়াগরাজে পৌঁছে যান তাঁরা। আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে মেলাপ্রাঙ্গণে ভিড়ের মাঝে পড়ে যান বৃদ্ধা ঊর্মিলা। তাঁদের দাবি, তার জেরেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। ঊর্মিলার পৌত্র অভিজিৎ মাইতি বলেন, ‘‘মা-বাবা, মেসো, মাসি, দিদা, ঠাকুরমা, মামিমা এবং আমার এক বোন সোমবার বিকেলে খড়্গপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ওঁরা প্রয়াগরাজ স্টেশন থেকে নেমে, হেঁটে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের আশ্রমে। রাতে সেখানেই ছিলেন। আর ভোরে পুণ্যস্নানে বেরিয়ে এই কাণ্ড। বুধবার দুপুরে আমরা ফোনে এই খবর পাই।’’ খবর শুনে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement