প্রতীকী ছবি।
পূর্বাভাস মেনেই বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত জন্ম নিয়েছে। তবে তার অভিমুখ এ রাজ্যের দিকে নয় বলেই জানাচ্ছেন আলিপুর হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, মতিগতি দেখে মনে হচ্ছে, ওডিশাই ওই ঘূর্ণাবর্তের গন্তব্য। সে-ক্ষেত্রে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আপাতত নেই। তবে ঘূর্ণাবর্ত শেষ মুহূর্তে কোনও তুঘলকিপনা করে কি না, সে-দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
ঘূর্ণাবর্ত ওডিশামুখী হলেও তরাই-ডুয়ার্স থেকে বাঁকুড়া, ডায়মন্ড হারবার হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। তার ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে ভারী বর্ষণের ফাঁড়া কাটছে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গেও থেমেছে জোরালো বৃষ্টি।
কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘূর্ণাবর্তটি এ দিন বঙ্গোপসাগরের উত্তর অংশে রয়েছে। সেটি কিছুটা পশ্চিম দিকে সরে এসে ওডিশায় ঢুকবে বলে মনে হচ্ছে। ফলে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ভারী ব়ৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি ওডিশায়। ‘‘শুক্রবার ঘূর্ণাবর্তের মতিগতি আরও স্পষ্ট হবে,’’ বলছেন সঞ্জীববাবু।
সম্প্রতি একটি গভীর নিম্নচাপের জেরে বানভাসি হয়ে পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা। তার পরে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা হয়েছে উত্তরবঙ্গ এবং লাগোয়া বিহারে। তার ফলে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের ঘূর্ণাবর্ত তৈরির পূর্বাভাসে প্রমাদ গুনছিলেন অনেকে। ঘূর্ণাবর্তটি গাঙ্গেয় বঙ্গকে বিপদে ফেলবে কি না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না আবহবিজ্ঞানীরাও। এ দিন ঘূর্ণাবর্তটি দানা বাঁধার পরে উপগ্রহ-চিত্র বিশ্লেষণ করে কিছুটা স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন তাঁরা। তবে আবহবিদদের একাংশ বলছেন, ঘূর্ণাবর্তটি খামখেয়ালি আচরণ করতেই পারে। তাই নজরদারি চলছেই।