Babul Supriyo

Babul Supriyo: বাবুল কেন রাজনীতি ছাড়লেন, ‘তঞ্চকতা’ না করে স্পষ্টই জানালেন মোদীর ‘সু’প্রিয়

দু’বার জয়ের পরেই তিনি মন্ত্রী হন। প্রতিমন্ত্রী হলেও গুরুত্বপূর্ণ দফতরও পেয়েছিলেন বিজেপি-তে মোদীর প্রিয় হিসেবে পরিচিত বাবুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২১ ১৮:০৫
Share:

ফাইল চিত্র।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয়র হয়ে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসানসোলের ভোটারদের কাছে বলেছিলেন, ‘‘হামে বাবুল চাহিয়ে।’’ এর পরে বাবুলের জয় এবং মন্ত্রিত্ব। মোদীর কথা শুনেছিল আসানসোল। ৭০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের শ্রমিকনেত্রী দোলা সেনকে হারান বাবুল। পাঁচ বছর পরে আরও ভাল ফল হয় আসানসোল কেন্দ্রে। ২০১৯ সালে বাবুল তৃণমূলের মুনমুন সেনকে হারান প্রায় দু’লাখ ভোটে।

Advertisement

দু’বার জয়ের পরেই তিনি মন্ত্রী হন। প্রতিমন্ত্রী হলেও গুরুত্বপূর্ণ দফতরও পেয়েছিলেন বিজেপি-তে মোদীর প্রিয় হিসেবে পরিচিত বাবুল। প্রথমবার হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী। এর পরে ২০১৬ সালে দফতর বদলে হয় ভারী শিল্প এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প। ২০১৯ সালে সাংসদ হওয়ার পরে বাবুল তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ দফতর (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন)-এর মন্ত্রী হন। কিন্তু গত ৭ জুলাই মন্ত্রিসভার রদবদলে বাদ যান বাবুল। এর পর থেকেই বাবুলের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

বাবুলের দাবি, মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার কারণে তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন না। শনিবার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রশ্ন উঠবেই কেনই বা রাজনীতি ছাড়তে গেলাম? মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার সঙ্গে তার কি কোনও সম্পর্ক আছে? হ্যাঁ আছে। কিছুটা তো নিশ্চয় আছে! তঞ্চকতা করতে চাই না। তাই সে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেলেই তা সঠিক হবে। আমাকেও তা শান্তি দেবে।’

Advertisement

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

বাবুলের বক্তব্য ২০১৪ ও ২০১৯ সালের মধ্যে অনেক ফারাক। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনে সুন্দরসিংহ অহলুয়ালিয়া দার্জিলিঙে জিতলেও তিনিই বিজেপি-র টিকিটে একমাত্র সাংসদ ছিলেন দাবি করে বাবুল লিখেছেন, ‘আজ বাংলায় বিজেপিই প্রধান বিরোধী দল। আজ পার্টিতে অনেক নতুন উজ্জ্বল তরুণ তুর্কি নেতা যেমন আছেন তেমনই অনেক প্রবীণ বিদগ্ধ নেতাও আছেন। এঁদের নেতৃত্বে দল এখান থেকে অনেক দূর যাবে এটা বলাই বাহুল্য| বলতে দ্বিধা নেই যে, আজ পার্টিতে কোনও একজন ব্যক্তিবিশেষের থাকা না থাকাটা যে কোনও বড় ব্যাপার নয় তাও স্পষ্ট হয়েছে এবং এটা মেনে নেওয়াটাই যে সঠীক সিদ্ধান্ত হবে এটাই আমার দৃঢ়, সুদৃঢ় বিশ্বাস।’ একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘ভোটের আগে থেকেই কিছু কিছু ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তর হচ্ছিল। তা হতেই পারে। কিন্তু তার মধ্যে কিছু বিষয় জনসমক্ষে চলে আসছিল। তার জন্য কোথাও আমি দায়ী (একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলাম যা পার্টির শৃঙ্খলাভঙ্গের পর্যায়েই পড়ে) আবার কোথাও অন্য নেতারাও ভীষণভাবে দায়ী, যদিও কে কতটা দায়ী সে প্রসঙ্গে আমি আজ আর যেতে চাই না। কিন্তু সিনিয়র নেতাদের মতানৈক্য ও কলহে পার্টির ক্ষতি তো হচ্ছিলই, ‘গ্রাউন্ড জিরো’-তেও পার্টির কর্মীদের মনোবলকে যে তা কোনওভাবেই সাহায্য করছিল না তা বুঝতে ‘রকেট বিজ্ঞান’-এর জ্ঞানের দরকার হয় না। এই মুহূর্তে তো তা একেবারেই অনভিপ্রেত তাই আসানসোলের মানুষকে অসীম কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা জানিয়ে আমিই সরে যাচ্ছি।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন