প্রতীকী ছবি
ত্রিলোচন মাহাতো, দুলাল কুমার ও শক্তিপদ সর্দার— বিজেপির এই তিন কর্মীর খুনের ঘটনায় কেন সিবিআই তদন্ত হবে না, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। আজ বিচারপতি এ কে সিক্রি ও অশোক ভূষণের বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানিতে রাজি হয়ে, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস জারি করেছে।
জুন মাসে সুপ্রিম কোর্টে গরমের ছুটির সময়ে তিনি ত্রিলোচন মাহাতো ও দুলাল কুমারের খুনে সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় বিচারপতি এ কে গয়াল ও অশোক ভূষণের বেঞ্চ ভাটিয়াকে হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দেন। দুলালের
বাবা মহাবীর কুমারের হয়ে সে বার মামলা করেছিলেন তিনি। কিন্তু
এ বার ভাটিয়া নিজেই এই মামলা করেছেন। আজ বিচারপতি এ কে সিক্রিও প্রথমে ভাটিয়াকে হাইকোর্টে যেতে বলেন। কিন্তু ভাটিয়ার যুক্তি, একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। তদন্ত দূরের কথা, এফআইআর-ই হচ্ছে না। তাই সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন। এর পরেই দুই বিচারপতি আলোচনা করে নোটিস জারির সিদ্ধান্ত নেন।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বলরামপুরে জনসভায় অভিযোগ করেছেন, ‘‘বলরামপুরে যত দিন আমাদের পঞ্চায়েত ছিল, শান্তি ছিল। বিজেপি জিততেই মাটি কলুষিত হয়ে গিয়েছে। দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। দিলীপ ঘোষেরা তা নিয়ে রাজনীতি করছেন।’’
গত ৩০ মে পুরুলিয়ার বলরামপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ত্রিলোচন মাহাতোর দেহ। তাঁর পিঠে আটকানো পোস্টারে লেখা ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচার করার শাস্তি। দিন তিনেক পরে সেই বলরামপুরেই দুলাল কুমার নামে আরও এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ২৮ জুলাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে খুন হন বিজেপি নেতা শক্তিপদ সর্দার।