সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে শিশু কোলে দেখা গেল সেই মহিলাকে।
মঙ্গলবার ছেলে চুরির তদন্তে নেমে একটা প্রশ্নের জবাব খুঁজছে পুলিশ— পাড়ার বাসিন্দা চিন্ময়ী বেজকে কেন চিনতে পারলেন না মা সরস্বতী নস্কর?
ঘটনার সময়ে প্রসূতি বিভাগে কোন কোন কর্মী ডিউটিতে ছিলেন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁদের নামের তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছে লালবাজার। তবে প্রাথমিক তদন্তে পাচার চক্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
শিশু চুরির অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে চিন্ময়ী এবং তাঁর স্বামী প্রশান্ত বেজকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় চুরি হওয়া শিশুটি। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় চিন্ময়ী দাবি করেছেন ঘটনার আগে থেকেই মেডিক্যাল কলেজে তাঁর যাতায়াত ছিল। সেই সুবাদে প্রসূতি বিভাগের অনেকেই তাঁকে চিনতেন। শুধু একটি বিষয়ে পুলিশের কিছুতেই খটকা যাচ্ছে না। তা হল, ঘটনার পর সরস্বতীর পরিবারের তরফে দাবি করা করেছিল, অচেনা এক মহিলা আয়ার বেশে এসে শিশুটিকে নিয়ে চলে গেছে। কিন্তু পুলিশ জানতে পেরেছে, একই পাড়ার বাসিন্দা চিন্ময়ী এবং সরস্বতী দু’জন
দু’জনকে আগে থেকেই চিনতেন। তা হলে ছেলে চেয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ে কেন চিন্ময়ীকে চিনতে পারলেন না সরস্বতী?
তদন্তের ওই খটকা দুর করতে ইডেন বিভাগের তিন তলায় থাকা বেশ কয়েক জন কর্মীকে ডেকে পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বউবাজার থানা।
এক তদন্তকারী বলেন, হাসপাতালের কোনও কর্মীর সহযোগিতা ছাড়া কোনও ভাবেই প্রসূতি বিভাগে সরস্বতী নস্করের কাছে বিনা বাধায় পৌঁছতে পারতেন না অভিযুক্ত মহিলা। তাই ওই ওয়ার্ডে ডিউটিতে থাকা নিরাপত্তা রক্ষী ও অন্য কর্মীদের নামের তালিকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ।