Calcutta High Court

রাস্তায় কেন নীল-সাদা রং? মামলা দায়ের হাই কোর্টে, কোর্টেও রং প্রবেশ করেছে বললেন প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘বিষয়টি যুক্তিপূর্ণ। সরকারি প্রতিষ্ঠানে নীল-সাদা রং করা হোক, কিন্তু রাস্তার মাঝে ব্যারিকেডে কেন সেই রং করা হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৪
Share:

কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম। —ফাইল চিত্র।

কলকাতায় রাস্তার ধারে ব্যারিকেডের র‌ং নীল-সাদা। সে কারণেই বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনা! অভিযোগ জানিয়ে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন এক ব্যক্তি। তিনি অভিযোগ করেছেন, ব্যারিকেডে এই রঙের ব্যবহার ট্র্যাফিক আইনের বিরুদ্ধ। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বিষয়টি ‘যুক্তিপূর্ণ’। পরের বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি করেন মোহিতকুমার রায়। তিনি আবেদনে জানান, কলকাতায় রাস্তার পাশে ব্যারিকেডের রং নীল-সাদা, যা ট্র্যাফিক আইনবিরুদ্ধ। সেই আইনে রাস্তার রং নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সাদা, কালো বা হলুদ ব্যবহার করা উচিত বলে জানানো হয়েছে। গভীর রাতে শহরে প্রবেশ করলে বা উড়ালপুল দিয়ে যাতায়াতের সময় গাড়ির চালকের চোখে সমস্যা হয়। নীল-সাদা রঙের উপর আলো পড়লে চোখ ধাঁধিয়ে যেতে পারে।

প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘বিষয়টি যুক্তিপূর্ণ। সরকারি প্রতিষ্ঠানে নীল-সাদা রং করা হোক, কিন্তু রাস্তার ধারে বা দুই লেনের মাঝে ব্যারিকেডে কেন সেই রং করা হচ্ছে।’’ প্রধান বিচারপতি ঠাট্টার ছলেই মামলাকারীর আইনজীবীকে বলেন, ‘‘রং নিয়ে মামলা করেছেন! এখানে তো নীল রঙের চেয়ার রয়েছে।’’ এর পরে তিনি সেই চেয়ারের নেপথ্য-গল্পও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে আদালতে বাদামি রঙের চেয়ার ছিল। সেগুলির হাতল নড়বড়ে ছিল। সেগুলি পরিবর্তন করে মেরুন রঙের চেয়ার আনা হয়। সেই চেয়ারে বসে তিন-চার জন আইনজীবী পড়ে যান। হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চেয়ার পরিবর্তনের কথা বলা হয়। তার পরেই নীল রঙের চেয়ার মিলেছে। কারণ, যিনি বরাত পেয়েছিলেন, তাঁর কাছে ওই রং ছাড়া অন্য কোনও রঙের চেয়ার ছিল না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement