দলের প্রবীণ সতীর্থ নেতাকে জুতোপেটা করা এবং নাকখত দেওয়ানোর অভিযোগে শ্রীরামপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝুম মুখোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কেন শুধু সাসপেন্ড করা হল, তা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে প্রশ্নের মুখে পড়লেন হুগলির তৃণমূল জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত।
সূত্রের খবর, এ দিন বিধানসভায় তপনবাবুকে ডেকে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঝুমকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করতে বলা হয়েছিল। তাঁকে শুধু সাসপেন্ড করা হল কেন? জানা গিয়েছে, পার্থবাবুকে তপন দাশগুপ্ত বলেন, শাস্তি হবে শুনে ভেঙে পড়েন ঝুম। তাই বহিষ্কার করা হয়নি।
জেলা তৃণমূলের অনেকে অবশ্য গোষ্ঠী রাজনীতির ছায়া দেখছেন। শ্রীরামপুর কলেজে ছাত্রভোটের সময়েই ঝুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, কলেজে ঢুকে ছাত্রদের হুমকি দিয়েছেন তিনি। পার্থবাবু এ দিন স্পষ্ট করে দেন, কলেজে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের খবরদারিতে নেত্রী অসন্তুষ্ট। কলেজ রাজনীতিতে নাক গলানোর জন্য ডেবরার বিধায়ক সেলিমা খাতুনকেও সমঝে দেন পার্থবাবু। ডেবরা কলেজের পরিচালন সমিতিতে প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন মহকুমাশাসক। আগে পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন প্রদীপ কর। তাঁর সঙ্গে সেলিমার বিরোধেই প্রশাসক নিয়োগ করতে হয় কলেজে। সেলিমার দাবি করেন, ‘‘পার্থবাবু বকাবকি করেননি। কলেজের ব্যাপারে নাক গলাতে মানা করেছেন।’’