ভাইফোঁটায় বাড়ি যেতে চাওয়ায় খুনের অভিযোগ

সুতির রাইপাড়ার পপিতা দাসের (১৫) বাড়ির লোকের অভিযোগ, গুলি নয়, তবে শ্বাসরোধ করে মেরে মেয়েকে ঝুলিয়ে দিয়েছে তার স্বামী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুতি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

দাদাকে ফোঁটা দেওয়ার ভারী ইচ্ছে ছিল তার। বৃহস্পতিবার রাতেও জানিয়েছিল, ‘‘খুব ইচ্ছে করছে এক বার বাড়ি যেতে, কিন্তু সে কথা তুললেই শুনতে হচ্ছে, গুলি করে দেব!’’ শুক্রবার সকালে ফোন এল, ‘আত্মঘাতী’ হয়েছে সে। সুতির রাইপাড়ার পপিতা দাসের (১৫) বাড়ির লোকের অভিযোগ, গুলি নয়, তবে শ্বাসরোধ করে মেরে মেয়েকে ঝুলিয়ে দিয়েছে তার স্বামী।

Advertisement

বাড়ির অমতেই সাদিকপুরের বাপ্পা দাস নামে এক যুবককে বিয়ে করেছিল পপিতা। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী, বাড়ি থেকে পালিয়ে মাস তিনেক আগে বিয়ে করেছিল বাপ্পাকে। বাড়ির এক মাত্র মেয়ের এমন পালিয়ে বিয়ে করায় মত ছিল না পপিতার বাবা সঞ্জয় দাসের। তিনি বলেন, ‘‘ছেলেটির বাবা খুনের দায়ে জেল খাটছে। প্রথম আপত্তি ছিল সেখানেই। তা-ও শেষ পর্যন্ত মেনেই নিয়েছিলাম। এই তার পরিণতি!’’

সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে প্রথম থেকেই নির্যাতন করা হত তাঁর মেয়েকে। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে প্রায়ই ফোন করে বলত, বাড়ি আসতে চাইলেই জামাই শাসাত, ‘গুলি করে মেরে ফেলব’। ভাইফোঁটায় দাদাকে ফোঁটা দেবে বলে খুব আসতে চেয়েছিল। হয়ত সে জন্যই খুন করে দিল মেয়েটাকে।’’

Advertisement

এ দিন সাদিকপুরে গিয়ে সঞ্জয়বাবুরা দেখেন, বিছানায় পড়ে রয়েছে মেয়ের দেহ। বাপ্পা জানায়, গলায় শাড়ি জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছে পপিতা। সঞ্জয়বাবুই মেয়েকে গাড়িতে তুলে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, বেশ কিছু ক্ষণ আগেই মারা গিয়েছে সে। এ দিনই সুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সঞ্জয়বাবু। তবে বাপ্পার কথায়, ‘‘কেন যে আত্মহত্যা করল কিছুই বুঝতে পারছি না। আর আমার কাছে পিস্তল কোথায় যে গুলি করব!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন