ছবি: সংগৃহীত।
বিমল গুরুঙ্গের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তথা কালিম্পং পুরসভার কাউন্সিলর বরুণ ভুজেলের মৃত্যুর ঘটনায় ‘নিরপেক্ষ তদন্তের’ দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁর স্ত্রী সবিতা ভুজেল। গত ২৪ অক্টোবর এসএসকেএম হাসপাতালে ৪৭ বছর বয়সী ওই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা মারা যান। তার আগে প্রায় চার মাস ধরে তিনি বিচারাধীন বন্দি ছিলেন।
আজ বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চে মামলা উঠতে তাতে বাধা দেওয়ার জন্য রাজ্যের তরফে চার বাঘা আইনজীবী, অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল, রাকেশ দ্বিবেদী ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। সিঙ্ঘভি আপত্তি তুলে বলেন, ‘‘ভুজেল পুলিশ হেফাজতে ছিলেন না। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’’ রাজ্যের প্রতিবাদেই অস্ত্র পেয়ে যান সবিতার আইনজীবী মীনাক্ষি অরোরা বলেন, ‘‘রাজ্যের আইনজীবীরা যে ভাবে নিরপেক্ষ তদন্তে প্রতিবাদ করছেন, তা থেকেই এর রাজনৈতিক গুরুত্ব বোঝা যায়।’’ বিচারপতিরা মীনাক্ষিকে প্রশ্ন করেন, তাঁরা কেন কলকাতা হাইকোর্টে যাচ্ছেন না! মীনাক্ষি যুক্তি দেন, কলকাতায় যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। মোর্চার সদস্যদের কলকাতায় গেলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিচারপতি ভূষণ প্রশ্ন তোলেন, মৃত্যুর আগে প্রায় এক মাস ভুজেল হাসপাতালে ছিলেন। কিন্তু মীনাক্ষির যুক্তি, বরুণের পরিবারকে হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের কোনও নথিও দেওয়া হয়নি।
কালিম্পং পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বরুণের মৃত্যুর পরই তাঁর পরিবারের লোকেরা সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। ধরা পড়ার পরে শিলিগুড়িতে কিছু দিন রাখা হয় ভুজেলকে। সেখানে পেটে ব্যথা হওয়ায় চিকিৎসা শুরু হয়। পরে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরিবারের অভিযোগ, ভুজেলকে পুলিশ হেফাজতে মারধর করায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসা না হওয়ায় তা জটিল আকার নেয়। পরিবারের খরচে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার আর্জিও পুলিশ-প্রশাসন মানেনি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার এই মামলার বিস্তারিত শুনানি হবে।