গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
নদিয়ার কালীগঞ্জের বিধানসভা উপনিপর্বাচনে প্রার্থীর নাম মঙ্গলবার সকালেই ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদেরই কন্যা আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-ও প্রার্থী ঘোষণা করবে। কী করবে সিপিএম আর কংগ্রেস? এই ভোটে বাম-কংগ্রেস কি জোট করে লড়বে? না কি আলাদা আলাদাই?
জোটের বিষয়ে ‘আগ্রহ’ প্রকাশ করলেও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন, ওই কেন্দ্রে তাঁরা কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে নিজেদের দলের প্রতীকে লড়াই করতে চান। যদিও সবটা আলোচনা সাপেক্ষে হবে বলেও জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। তবে কংগ্রেস জোট করা বা না-করার বিষয়ে আপাতত ‘ধোঁয়াশা’ রাখছে। অন্তত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিধান ভবন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
জোটের প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘আমরা মনে করি ওখানে (কালীগঞ্জে) বামফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী হলে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে জুতসই লড়াই হবে। বুধবার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক রয়েছে। তার পর বামফ্রন্টে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা কংগ্রেসের সঙ্গেও কথা বলব। তাদের জানিয়েই ওখানে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিএম প্রার্থী দেওয়া হবে।’’ সেলিম এক প্রকার বলেই দিয়েছেন, ওখানে সিপিএমের প্রতীকেই প্রার্থী দাঁড় করাতে চায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। তার পরেও কংগ্রেসের সমর্থন প্রত্যাশা করছেন তাঁরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, ‘‘এখনও কোনও কথা হয়নি। দেখি কী হয়!’’
২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হিসাবে কালীগঞ্জে লড়েছিল কংগ্রেস। ২০১৬ সালে কংগ্রেসের হাসানুজ্জামান শেখ ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার তৃণমূল বিধায়ক।
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরে নৈহাটি, তালড্যাংড়া, মেদিনীরপুর এবং কালচিনি বিধানসভার উপনির্বাচনে পৃথক ভাবে লড়েছিল বাম-কংগ্রেস। সব আসনে দুই দলই জামানত খুইয়েছিল। সেলিমের যুক্তি, গত পঞ্চায়েত ভোট এবং লোকসভা ভোটে কালীগঞ্জে সিপিএমের ভোট-শতাংশ অনেক বেশি। তাই তাঁরা ওই আসনে লড়তে চান। ২০২১ সালের নির্বাচনে বামেদের সমর্থনে জোট প্রার্থী হিসাবে কংগ্রেসের আব্দুল কাশেম পেয়েছিলেন ১১ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট। বিজেপি ছিল দ্বিতীয় শক্তি। পদ্মশিবিরের ঝুলিতে ছিল প্রায় ৩১ শতাংশ ভোট।
আগামী ১৯ জুন কালীগঞ্জে ভোটগ্রণ। ২৩ জুন ফলপ্রকাশ। বাম-কংগ্রেস জোটের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত বুধবার হয়ে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।