Dilip Ghosh

ডিসেম্বরে দেখে নেব, দিলীপের হুঙ্কার, ‘দরকারে গুন্ডামি’-র হুমকি

তার আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা সাতগাছিয়া থেকে দিলীপ-সহ বিজেপি নেতাদের দিকে একের পর এর এক তির ছুঁড়েছেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে উঠতেই পাল্টা তোপ দাগতে শুরু করেন দিলীপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৪২
Share:

আগেই দিলীপ-সহ বিজেপি নেতাদের দিকে একের পর এর এক তির ছুঁড়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে উঠতেই পাল্টা তোপ দাগতে শুরু করেন দিলীপ। নিজস্ব চিত্র

ডিসেম্বরে বুঝে নেবেন তিনি, রবিবার বেশ কয়েকবার এমনই হুঙ্কার শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। বিকেলে দলীয় দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন দিলীপ। তার আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা সাতগাছিয়া থেকে দিলীপ-সহ বিজেপি নেতাদের দিকে একের পর এর এক তির ছুঁড়েছেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে উঠতেই পাল্টা তোপ দাগতে শুরু করেন দিলীপ। বলেন, “ডিসেম্বরে বুঝে নেবো, কার কত দম। ঘর সামলাক।”

Advertisement

অভিষেক সাতগাছিয়ার সভায় অনেক কথার মধ্যে নাম নিয়েই দিলীপ ঘোষকে সরাসরি ‘গুন্ডা’ বলে আক্রমণ করেন। তার পাল্টা জবাবে দিলীপ সাংবাদিকদের বলেন,‘‘দিলীপ ঘোষ গুন্ডা তো তোমার কী? এতদিন তোমরা গুন্ডামি করেছ। এবার আমার গুন্ডামিটা দেখো। আমার সময় এসেছে। দরকার হলে গুন্ডামিই করব। পারলে ঠেকাও।’’ অভিষেক বলেছেন, নাম করে তাঁর নামে কিছু বললে, পুলিশে অভিযোগ করবেন তিনি। এর আগেও তিনি একাধিক বার এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সেই প্রশ্নের উত্তরেও দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এফআইআর হবে কি না, সেটা সময়ই বলবে।’’

আরও পড়ুন: মমতায় আস্থা, পাহাড়ে ফিরে বিনয়-অনীতদের তোপ রোশনের, নিশানায় বিজেপি-ও

Advertisement

অন্যদিকে, এ দিন আলু-পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য নিয়েও রাজ্যের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তোলেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপের কথায়, ‘‘রাজ্যে সিবিআই, ইডি সক্রিয় হওয়ার ফলে গরু পাচার, কয়লা পাচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কাটমানি আসছে না। তা পুষিয়ে দিতে আলুর দাম বাড়াতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা লুঠ করার চেষ্টা চলছে।’’ দিলীপের এই অভিযোগ করার আগেই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে আলু-পেঁয়াজের দর নিয়ন্ত্রণের জন্য চিঠি দিয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই তৃণমূলের দাবি, আলু-পেঁয়াজের দামের নিয়ন্ত্রণ এখন কেন্দ্রের হাতে। কেন্দ্রের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। নতুন আইনের ফলে কালোবাজারি বেড়ে গিয়েছে। এর ফলেই আলু লুঠ হয়ে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। এখানে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।

আরও পড়ুন: ভয়ে আমার নাম নেয় না বিজেপি, ভাইপো বলে ডাকে, তোপ অভিষেকের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement