কর্মী সংগঠনে কোপ, উদ্বিগ্ন ফেডারেশন

আবগারি দফতরের কর্মী সংগঠনগুলিকে ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় সরব হল শাসক দলের সরকারি কর্মচারী সংগঠনও। ভবিষ্যতে সংগঠন ভাঙার প্রশাসনিক প্রবণতা রুখতে দল এবং সরকারের সর্বোচ্চ স্তরের দৃষ্টি আকর্ষণের পথে হাঁটতে চলেছে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৪:৩৮
Share:

আবগারি দফতরের কর্মী সংগঠনগুলিকে ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় সরব হল শাসক দলের সরকারি কর্মচারী সংগঠনও। ভবিষ্যতে সংগঠন ভাঙার প্রশাসনিক প্রবণতা রুখতে দল এবং সরকারের সর্বোচ্চ স্তরের দৃষ্টি আকর্ষণের পথে হাঁটতে চলেছে তারা।

Advertisement

২১ মার্চ অর্থ (রাজস্ব) দফতরের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী এ বার থেকে আবগারি দফতরের কর্মী সংগঠনগুলির পরিবর্তে আত্মপ্রকাশ করবে পশ্চিমবঙ্গ আবগারি কল্যাণ পর্ষদ। তার চেয়ারম্যান হবেন আবগারি কমিশনার। এই নির্দেশিকা ঘিরে আলোড়ন প়ড়েছে কর্মী-সংগঠনগুলির অন্দরে। তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারাও মনে করছেন, এই প্রবণতা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সব দফতর থেকে লুপ্ত হবে কর্মী সংগঠনগুলি। তখন কর্মী-স্বার্থে সরকারের কাছে দাবি রাখার সুযোগ থাকবে না।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক (সচিবালয় শাখা) ও রাজ্য কোর কমিটির সদস্য সঞ্জীব পাল বলেন, ‘‘সংগঠন করার অধিকার সার্ভিস রুল বা কর্মবিধিতে স্বীকৃত। সেটা বলবৎ থাকাকালীন এমন পদক্ষেপ কী করে করা হল? তীব্র বিরোধিতা করছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝাতে হবে, এর পরে একে একে জেল, দমকল, অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরগুলির কর্মী সংগঠনের অধিকার যেতে বসলে ভবিষ্যতে নজরুল মঞ্চ বা নেতাজি ইন্ডোরে কর্মিসভা হবে তো?’’

Advertisement

অতীতে মহার্ঘভাতা বা অন্য বিষয়ে বিরোধী কর্মচারী সংগঠনগুলি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেও ফেডারেশনের তরফে তেমন অবস্থান দেখা যায়নি। এখন ফেডারেশনের একাংশের ধারণা, কর্মীদের আস্থা ধরে রাখা জরুরি। কর্মী-স্বার্থ বিঘ্নিত হয় এমন বিষয়ে সক্রিয় না-হলে ভবিষ্যতে
সংগঠন বাঁচানো মুশকিল হবে। সঞ্জীবের কথায়, ‘‘এমন চললে বেতন কমিশনের বিলম্ব, বকেয়া মহার্ঘভাতার মতো বিষয়ে ফেডারেশনের সদস্যরা কি বিজেপির কর্মচারী পরিষদের আহ্বান এড়াতে পারবেন?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement