ভিডিয়ো কাণ্ডে কেষ্টকে ‘বাঁচাতে’ দিলীপকে নিশানা তৃণমূলের

ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, আপত্তিকর কথাবার্তা বলা সত্ত্বেও অনুব্রত মণ্ডলকে ‘আড়াল’ করার চেষ্টা শুরু হল তৃণমূলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:১৫
Share:

ফাইল চিত্র।

ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, আপত্তিকর কথাবার্তা বলা সত্ত্বেও অনুব্রত মণ্ডলকে ‘আড়াল’ করার চেষ্টা শুরু হল তৃণমূলে।

Advertisement

বীরভূমে জেলা তৃণমূলের বৈঠকে রবিবার এক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল অধুনা বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে গাঁজা পাচারের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করার ফরমান দিয়েছেন অনুব্রত। একই নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্চায়েতের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া এক কর্মী সম্পর্কেও। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, তিনি পূর্ব বর্ধমানের এসপিকে ফোনে ধরার নির্দেশ দিচ্ছেন এক পার্শ্বচরকে। কারণ, যে এলাকাকে কেন্দ্র করে অনুব্রতর এই উষ্মা, সেই আউশগ্রাম জেলা হিসেবে বর্ধমান এবং লোকসভা কেন্দ্র হিসেবে বোলপুরের মধ্যে পড়ে।

তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত আগেও বহুবার বিরোধীদের এবং পুলিশকে হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু দু’-এক বার ‘মৃদু’ ভর্ৎসনা এবং সতর্কবাণী ছাড়া কিছু শুনতে হয়নি তাঁকে। বরং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘কেষ্টর (অনুব্রতর ডাকনাম) মাথায় অক্সিজেন কম যায়।’’

Advertisement

এ বার সেই অনুব্রতর হুমকি-ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেও দল কার্যত ‘নিরুত্তাপ’। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘‘বিজেপির রাজ্য দিলীপ ঘোষ যে এত কুকথা বলেন, ওঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে কি? সব বক্তব্যই নিন্দনীয়। কিন্তু অনুব্রতর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে আগে দিলীপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ তাঁর এ-ও অভিযোগ, রাজনীতিতে অশালীন ভাষা, কুসংস্কৃতি আমদানি করেছে সিপিএম। অনুব্রতকে সতর্ক করা হয়েছে কি? মহাসচিব বলেন, ‘‘আমি কিছু বলিনি।’’

আরও পড়ুন: সঙ্গীতা-ফঙ্গিতা চিনি না, সব রং চড়ানো: অনুব্রত এক্সক্লুসিভ

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘কেষ্ট যা করে, সবই লীলা। কারণ, তার মাথায় দিদির হাত আছে।’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের দাবি, ‘‘সব জেলাতেই অনুব্রত আছে।’’ দিলীপবাবুকে নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্যের জবাবে তাঁর যুক্তি, ‘‘দলের কর্মীরা আক্রান্ত হলে দিলীপবাবু আত্মরক্ষার পরামর্শ দেন। কিন্তু দলীয় বৈঠকে প্রশাসনকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করেন না।’’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘দিদির নির্দেশেই ভাইয়েরা চলছে। মুর্শিদাবাদে কোনও কেষ্ট নেই। কিন্তু সেখানে বিগত জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে মাদক পাচারের মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। যাতে জামিন না মেলে, সে জন্যই গাঁজা পাচারের মামলা দিতে বলছেন তৃণমূল নেতারা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন