দুই সদ্যোজাতের সঙ্গে টুম্পাদেবী। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
মহিলার দু’টি জরায়ুর মধ্যে আলাদা আলাদা ভাবে বেড়ে উঠেছিল দু’টি ভ্রূণ। শনিবার সকালে বনগাঁ শহরের রেটপাড়া এলাকার একটি নার্সিংহোমে স্বাভাবিক ভাবে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। মা ও সন্তানেরা সুস্থ আছে। চিকিৎসা শাস্ত্রে এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে না বলেই দাবি চিকিৎসক মহলের একাংশের।
টুম্পা রায় নামে ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করেছেন স্ত্রী ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ বিশ্বজিৎ হালদার। তিনি বলেন, ‘‘মহিলাদের শরীরে সাধারণ তো একটি জরায়ু থাকে। গঠনতন্ত্রে ত্রুটির জন্য কারও মহিলার দু’টি জরায়ু থাকতে পারে। সেখানে দু’টি ভ্রূণ সৃষ্টি হলে একটি সাধারণত নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দু’টি জরায়ু থেকেই সুস্থ শিশুর জন্ম হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: হোটেলে ছাড় দিয়ে পর্যটক টানতে চায় পাহাড়
গোপালনগরের চড়চালকি এলাকায় শ্বশুর বাড়ি বছর বাইশের টুম্পার। স্বামী অপূর্ববাবু গুজরাতে কাজ করেন। টুম্পাদেবী সেখানেই থাকতেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন। শনিবার সকালে তাঁর রক্তক্ষরণ ও প্রসব যন্ত্রণা শুর হয়। পরিবারের লোকজন নার্সিংহোমে নিয়ে যান।
প্রথম দিকে আলট্রাসনোগ্রাফি না করানোয় অবশ্য বিষয়টি আগে থেকে জানাই যায়নি। অস্ত্রোপচার যথেষ্ট ঝুঁকির ছিল বলে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎবাবু। কন্যাসন্তানটির নাড়ি জড়িয়ে গিয়েছিল গলায়।
টুম্পাদেবী বলেন, ‘‘একই সঙ্গে ছেলে-মেয়ে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে।’’ নার্সিংহোমের তরফে মুক্তি বসু বলেন, ‘‘এ রকম একটি ঘটনা সাফল্যের সঙ্গে এখানে ঘটায় আমরাও খুশি।’’ স্ত্রী রোগ বিশেষ়জ্ঞ বিশ্বপতি মুখোপাধ্যায়ও জানান, ঘটনাটি নিঃসন্দেহে বিরল। দু’টি জরায়ুও সচরাচর দেখা যায় না।