নিজের কিডনি বিক্রি করেই পাচার-চক্রে জগাছার চন্দনা

চন্দনা নিজেই তার একটি কিডনি ৪ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছিল! পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণে কিডনি বিক্রি করেছিল চন্দনা। সেই সূত্রে তার সঙ্গে পরিচয় হয় এই পাচার-চক্রের মাথা অমিতকুমার রাউথের। ক্রমে চন্দনাও জড়িয়ে পড়ে এই চক্রের সঙ্গে। মূলত এজেন্ট হিসেবেই কাজ করত সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:০৯
Share:

চন্দনা গুড়িয়া

কিডনি পাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার হাওড়ার জগাছার জিআইপি কলোনি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল চন্দনা গুড়িয়া নামে এক মহিলাকে। বাড়ির মধ্যেই রীতিমতো অফিস খুলে বসে চলছিল ওই চক্রের যাবতীয় কাজকর্ম। ধৃতকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন,

Advertisement

চন্দনা নিজেই তার একটি কিডনি ৪ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছিল! পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণে কিডনি বিক্রি করেছিল চন্দনা। সেই সূত্রে তার সঙ্গে পরিচয় হয় এই পাচার-চক্রের মাথা অমিতকুমার রাউথের। ক্রমে চন্দনাও জড়িয়ে পড়ে এই চক্রের সঙ্গে। মূলত এজেন্ট হিসেবেই কাজ করত সে।

ধৃতকে জেরা করে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা আরও জেনেছেন, এক শ্রেণির গরিব মানুষকে চন্দনা বলত সে স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্ত। সাহায্য করার অছিলায় তাঁদের একটি কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য অমিতের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিত সে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, এই কাজের বিনিময়ে চন্দনার আর্থিক লাভও হত। মূলত পশ্চিমবঙ্গেই কাজ করত অভিযুক্ত। কিন্তু এতই গোপনে যে প্রতিবেশীরা তো দূর, তার স্বামী এবং মেয়েও কিছু জানতে পারেননি।

Advertisement

এ দিকে, আপাত নিরীহ চন্দনার নাম কিডনি পাচার চক্রে জড়ানোয় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জিআইপি কলোনিতে। কী ভাবে হাওড়া জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা আন্তঃরাজ্য কিডনি পাচার চক্রে জড়িয়ে পড়ল, সেটাই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। সুদূর উত্তরাখণ্ড পর্যন্ত কী ভাবে এই পাচার চক্রের জাল বিস্তৃত হল, সেই যোগসূত্রেরও খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন