যৌন হেনস্থা, সুরাহা চেয়ে মোদীকে চিঠি

মেয়েটির অভিযোগ, তাদের ওই পারিবারিক বন্ধু ৬৫ বছরের প্রৌঢ়। তিনি তাকে বেশ কয়েক বার যৌন হেনস্থা করেছেন। তা নিয়ে ২৪ এপ্রিল বিধাননগরে মহিলা থানায় অভিযোগ করা সত্ত্বেও প্রতিকার হয়নি।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০৩:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

পারিবারিক এক বন্ধু তার উপরে বারবার যৌন অত্যাচার চালিয়েছেন, অথচ সে বিচার পায়নি। পিএমও বা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সরাসরি ই-মেল করে এই অভিযোগ জানিয়েছে কলকাতার এক কিশোরী।

Advertisement

মেয়েটির অভিযোগ, তাদের ওই পারিবারিক বন্ধু ৬৫ বছরের প্রৌঢ়। তিনি তাকে বেশ কয়েক বার যৌন হেনস্থা করেছেন। তা নিয়ে ২৪ এপ্রিল বিধাননগরে মহিলা থানায় অভিযোগ করা সত্ত্বেও প্রতিকার হয়নি। সমাজে ওই প্রৌঢ় এবং তাঁর পরিবারের প্রভাব এতটাই যে, পুলিশ ঠিক করে তদন্তই করেনি। প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস বা পকসো-য় মামলা করেও কোনও সুরাহা হয়নি।

পুলিশি সূত্রের খবর, তদন্ত এখনও চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। কিন্তু পুলিশের খাতায় তিনি বেপাত্তা। সম্ভবত তিনি বিদেশে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ‘লুক আউট’ নোটিসও জারি করে রেখেছে।

Advertisement

২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দায়ের করা অভিযোগে বছর সতেরোর ওই কিশোরী জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে তার ও তার পরিবারের উপরে অত্যাচার চলছে। অভিযুক্ত প্রৌঢ় কলকাতায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এবং তাঁর স্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন একটি সংস্থার ডিরেক্টর। মেয়েটির বাবা সেই সংস্থায় অভিযুক্ত প্রৌঢ়ের স্ত্রীর অধীনে কাজ করেন। সেই সুবাদেই দুই পরিবারের আলাপ-পরিচয় এবং পরে ঘনিষ্ঠতা হয়। মেয়েটি প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছে, সে থানায় অভিযোগ করার পর থেকে তার বাবাকেও বিভিন্ন ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তার মা এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছেন। অভিযুক্তের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তাঁর স্ত্রী দিল্লিতেও প্রভাব খাটিয়ে তা স্থগিত করে দিয়েছেন।

কিশোরীর নিকটজনেরা জানান, ওই ঘটনার পর থেকে তাঁরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। কিশোরীর বোন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। কিশোরীর আত্মীয়দের আশঙ্কা, অভিযুক্তের স্ত্রী কেন্দ্রের অধীন ওই সংস্থার ডিরেক্টর-পদে থেকে গেলে ক্ষমতাবলে তিনি তাঁর স্বামীকে নিরাপত্তা দিয়ে যাবেন। অভিযুক্তের পরিবার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় অফিসারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের কাছে খবর আছে, চাপ দিতে কিশোরীর বাবাকে সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্তের স্ত্রী বলেন,

‘‘আমার স্বামীর বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে, তা অভিযোগ মাত্র। কিছুই প্রমাণ হয়নি। বিষয়টি বিচারাধীন। অভিযোগ মিথ্যা। কিশোরীর বাবা বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন