ফাইল চিত্র।
ফোন থেকে জন ধন, আয়কর থেকে ভাতা— সবেতেই আধার নম্বর জোড়ার নির্দেশ দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এ নিয়ে এ বার সরাসরি চ্যালেঞ্জের পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তৃণমূলের সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আমি মোবাইলের সঙ্গে আধার জুড়ব না। ফোন কেটে গেলে যাবে।’’ কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, ‘‘কেউ মোবাইলের সঙ্গে আধার জুড়বেন না। মানুষের ব্যক্তি পরিসরে হাত দেওয়ার অধিকার কারও নেই।’’
মুখ্যমন্ত্রী যখন এ সব বলছেন, তখনই মোদী সরকার সর্বোচ্চ আদালতে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে উপভোক্তাদের আধার নম্বর যুক্ত করার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হলো। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কিংবা মোবাইলের ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়ছে কি না, তা স্পষ্ট করেনি সরকার। বিরুদ্ধপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, যাঁরা ব্যাঙ্ক বা মোবাইলের জন্য আধার নম্বর দিতে চান না, তাঁদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। আদালত অবশ্য স্পষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের নির্দেশ, ডেঙ্গির বদলে লিখুন...
তবে অস্পষ্টতা রাখেননি মমতা। তাঁর দাবি, ‘‘মোবাইলে আধার জুড়লে স্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বলছেন, তা-ও মোদীজির লোকজন শুনবে। এটা হতে দেওয়া যায় না।’’ এ দিন টেলিকম মন্ত্রকও মোবাইলে ‘সঠিক ব্যক্তির ব্যবহার’ নিশ্চিত করতে পদ্ধতি সরল করার কথা ঘোষণা করেছে। প্রায় ৫০ কোটি মোবাইলে আধার জুড়েছে। এ বার ওই নম্বরের ‘রি-ভেরিফিকেশন’ হবে। সময়সীমা ৬ ফেব্রুয়ারি।