ফাইল চিত্র।
মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যুর পর বাংলার সিংহভাগ সাহিত্যিক তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি বলে আক্ষেপ করলেন তাঁর পরিজনেরা। গত ২৮ জুলাই মহাশ্বেতা প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর পরিবারের তরফে রবিবার গল্ফগ্রিনের উদয় সদনে স্মরণসভা করা হয়। সেখানে মহাশ্বেতার বোন সোমা মুখোপাধ্যায় দিদির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘‘এক জন সাহিত্যিক মারা গেলে অন্য সাহিত্যিকরা আসবেন, শ্রদ্ধা জানাবেন, এমনটাই স্বাভাবিক। দিদির ক্ষেত্রে সেটা হল না, এই দুঃখটুকু থাকবে।’’
মহাশ্বেতার পরিজনদের আক্ষেপ, তিনি যে অনুজ লেখকদের বরাবর সাহায্য করে এসেছেন, তাঁদের কাউকেই রোগশয্যার পাশে, শেষ যাত্রায় বা স্মরণসভায় দেখা যায়নি।
রাজ্যের তিন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস এবং ইন্দ্রনীল সেন, প্রাক্তন মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের তারকা মুখ রুদ্রনীল ঘোষ এ দিন মহাশ্বেতার স্মরণসভায় যোগ দেন। তাঁরা অবশ্য বক্তৃতা করেননি। পার্থবাবু বাইরে বলেন, ‘‘সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময় থেকে আমার সঙ্গে মহাশ্বেতা দেবীর পরিচয়। নার্সিংহোমে শুয়ে থাকা অবস্থাতেও আমাকে ফোন করে ভাঙা ভাঙা গলায় বলেছিলেন, এক দিন দেখা করতে। দু’জনকে বদলি করতে হবে। সেই দেখাটা আর হয়নি। কিন্তু সেই দু’জনের বদলির জন্য ওঁর লেখা চিঠি আমি পেয়েছি এবং যত্ন করে সচিবের কাছে রেখে দিয়েছি। আমার কাছে ওই চিঠি অমূল্য সম্পদ!”