DYFI

DYFI: বাড়ছে ডিওয়াইএফআই, নির্বাচনের পথে যুব কংগ্রেস

কংগ্রেস সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তিন তরুণ নেতা-নেত্রী রাজ্যের যুব সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী। সেই ছবি পরিষ্কার হবে মনোনয়ন প্রক্রিয়া হয়ে গেলে তবেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২২ ০৪:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

তরুণ প্রজন্মকে সামনে এনেই এখন জমি ফেরানোর লড়াই চালাচ্ছে সিপিএম। মূল দলের সদস্যসংখ্যা কমলেও যুব সিপিএমের সদস্যসংখ্যা রয়েছে বৃদ্ধির পথেই। সর্বশেষ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ হাজার। সিপিএমের যুব সংগঠন যখন নতুন উদ্যমে আন্দোলন জোরালো করার পরিকল্পনা নিচ্ছে, সেই সময়েই রাজ্যে শুরু হয়েছে যুব কংগ্রেসের সদস্য সংগ্রহ অভিযানও। সদস্যপদের এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার মধ্যেই যুব কংগ্রেসে সাংগঠনিক নির্বাচন হবে। গোটা প্রক্রিয়া আগামী ২৬ জুনের মধ্যে সম্পূর্ণ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন যুব কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

বিধাননগরে ডিওয়াইএফআইয়ের ১১তম সর্বভারতীয় সম্মেলন হতে চলেছে আগামী ১২ মে থেকে। এ রাজ্যে দীর্ঘ ২৭ বছর পরে সিপিএমের সর্বভারতীয় যুব সম্মেলনের আসর বসছে। সম্মেলনে পেশ করার জন্য সাংগঠনিক যে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, তার হিসেব অনুযায়ী, ২০২১-২২ সালে ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার বেড়েছে। তার আগের বছর (২০২০-২১) অবশ্য সদস্যসংখ্যা বেড়েছিল আরও বেশি, প্রায় এক লক্ষ। তবে কোভিড পরিস্থিতির ধাক্কা সব ধরনের সদস্যপদেই পড়েছে এবং তার হিসেব এখন পাওয়া যাচ্ছে বলে সিপিএম নেতৃত্বের ব্যাখ্যা। সম্মেলন উপলক্ষে এবং যুব প্রজন্মের উৎসাহ ধরে রাখতে এ বার বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে সুন্দরবন বাঁচাতে যেমন ম্যানগ্রোভ রোপনের কর্মসূচি হয়েছে, তেমনই বিকল্প কর্মসংস্থানের দিশা দেওয়ার লক্ষ্যে কিছু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। দলের যুব নেতৃত্বের বক্তব্য, বিভিন্ন ঘটনা ও সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সরকার-বিরোধী প্রতিবাদ তো চলবেই। তার পাশাপাশি সংগঠনের তরফে ‘ইতিবাচক’ কিছু কর্মসূচিও মানুষের সামনে তাঁরা তুলে ধরতে চান।

বাংলায় সংগঠনের দৃশ্যমানতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সদস্যপদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুব কংগ্রেসও। বিধান ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযানের সূচনায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র ও প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান। সদস্যপদের সঙ্গে সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তিন তরুণ নেতা-নেত্রী রাজ্যের যুব সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী। সেই ছবি পরিষ্কার হবে মনোনয়ন প্রক্রিয়া হয়ে গেলে তবেই।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন