রাঁচীর মানসিক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ায় চলে এসেছিল ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার এক যুবক। কয়েকদিন এলাকায় এলোমেলো ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শেষে তাঁর কাছ থেকেই ঠিকানা জোগাড় করে বাড়ির লোকেদের ডেকে পাঠাল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, দেবাশিস মহন্ত নামে ওই যুবকের বাড়ি ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার যোশীপুর থানার আনলাবেনি গ্রামে। সেখান থেকে রবিবার সন্ধ্যায় নিতুড়িয়া থানায় আসেন তাঁর বাবা শরৎচন্দ্র মহন্ত, ভাই বংশীধর-সহ গ্রামের কয়েকজন। প্রয়োজনীয় নথি খতিয়ে দেখে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই যুবককে। সোমবার দেবাশিসকে নিয়ে ফের রাঁচীর ওই মানসিক হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তাঁর পরিবার।
গত কয়েক দিন ধরে নিতুড়িয়া এলাকায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে বছর আটাশের ওই যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। একসময় তিনি নিজের পরিচয় জানান পুলিশকে।
বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন দেবাশিস। বিয়েও করেন। কিন্তু বিয়ে না টেকায় দেবাশিস মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ওই যুবকের বাবা জানান, ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে শুনে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। কয়েকমাস আগে রাঁচীর কাঁকেতে সরকারি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। কিন্তু ২২ মার্চ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর পাঠান, দেবাশিস সেখান থেকে পালিয়েছেন।