অটো-পারমিট ও লাইসেন্সের বিধি শিথিল

লোকসভা নির্বাচনের আগে অটোচালক এবং মালিকদের জন্য দু’দফা দাওয়াইয়ের ভাবনা পরিবহণ দফতরের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৪ ০৯:৩৩
Share:

লোকসভা নির্বাচনের আগে অটোচালক এবং মালিকদের জন্য দু’দফা দাওয়াইয়ের ভাবনা পরিবহণ দফতরের। এক দিকে, অটোচালকদের ঢালাও লাইসেন্স দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে অটোর লাইসেন্স পেতে দু’বছর হাল্কা মোটরযান চালানোর যে অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যিক, তা-ও তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।

Advertisement

অন্য দিকে, যে সব অটো ঠিক সময়ে পারমিট পুনর্নবীকরণ করেনি, তাদের জরিমানার পরিমাণ কমাতেও অর্থ দফতরের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছে পরিবহণ দফতর।

লাইসেন্সের বিষয়টি অবশ্য শুক্রবার স্বীকার করে নেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। কিন্তু পারমিটের জরিমানার অর্থ কমানোর বিষয়টি তিনি স্বীকার করতে চাননি। শুক্রবার মন্ত্রী বলেন, “বহু চালকই আমাদের কাছে অভিযোগ করছেন যে, তাঁরা নিয়ম মেনেই গাড়ি চালাতে চাইছেন। কিন্তু নিয়মের গেরোয় তাঁদের লাইসেন্স পেতে দেরি হচ্ছে। তাই প্রয়োজনে অতীতের নিয়ম পাল্টে অটোর লাইসেন্স পাওয়ার বিষয়টি আরও সরল করার বিষয়ে ভাবছি।” মন্ত্রী জানান, চালকদের লাইসেন্স পেতে যাতে আর দেরি না হয়, তাই রাজারহাটে শিবির করে লাইসেন্স বিলি করবে পরিবহণ দফতর। তবে কবে, কী যোগ্যতার ভিত্তিতে ওই শিবিরে চালকেরা লাইসেন্স পাবেন, সে সম্পর্কে বিশদ বলেননি মন্ত্রী।

Advertisement

পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, “যে সব অটোর পারমিট ছিল, কিন্তু ভুলবশত, অনীহাবশত বা অন্য কোনও কারণে তাঁরা পারমিট পুনর্নবীকরণ করেননি, তাঁদের এখন প্রচুর জরিমানা দিয়ে তা করাতে হচ্ছে। ওই সব অটোর পারমিট পুনর্নবীকরণ করে যাতে সেগুলিকে দ্রুত বৈধতার স্বীকৃতি দেওয়া যায়, সে জন্য জরিমানার অর্থ খানিকটা মকুব করার কথা ভাবা হচ্ছে। এ জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ দফতরের কাছে অনুরোধ করেছেন পরিবহণমন্ত্রী।”

অটো ইউনিয়নের এক নেতা বলেন, “সম্প্রতি শহরে পুলিশের সঙ্গে অটোচালকদের যে কর্মশালা হচ্ছে, সেখানে দেখা যায় অধিকাংশের বেশি চালক লাইসেন্স ছাড়াই অটো চালাচ্ছেন। সে জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দায়ী পরিবহণ দফতর। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।”

তবে এই দু’দফা সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে শাসক এবং বিরোধী দুই দলের অটো ইউনিয়নগুলিই। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র নেতা মেঘনাথ পোদ্দারের কথায়, “অটোওয়ালাদের প্রচুর টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছিল। প্রচুর বেকার ছেলে লাইসেন্স না পেয়ে অটো চালাতে পারছিলেন না। সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা খুবই খুশি।”

একই বক্তব্য বিরোধী দল সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু নেতাদেরও। সিটুর অটো ইউনিয়নের নেতা বাবুন ঘোষ বলেন, “অটোচালকেরা অধিকাংশই সাধারণ পরিবারের ছেলে। তাঁদের কাছ থেকে প্রচুর জরিমানা নেওয়া হচ্ছে। লাইসেন্স নিয়েও তাঁদের নানা জটিলতা পোহাতে হয়। এ সব দূর করতে সরকার ব্যবস্থা নিলে অবশ্যই স্বাগত জানাব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement