বিদ্যাসাগর কলেজ

অভিজিৎ এলেন, থাকলেন না বহু শিক্ষক এবং ছাত্র

বিদ্যাসাগর কলেজে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। কৃতীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে হাজির যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। কিন্তু প্রাপকদের বড় অংশই গরহাজির। সতেরো জনের মধ্যে ১৪ জন। প্রত্যাশিত ভাবেই শুক্রবার দুপুরের ওই অনুষ্ঠান শেষে কলেজের অন্দরে প্রশ্ন ওঠে, পুরস্কার নিতে কেন এলেন না কৃতীরা? কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায় জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “প্রত্যেক বছরই উপস্থিতির হার কম থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:৩২
Share:

বিদ্যাসাগর কলেজের পুরস্কার বিতরণীতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী।—নিজস্ব চিত্র।

বিদ্যাসাগর কলেজে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। কৃতীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে হাজির যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। কিন্তু প্রাপকদের বড় অংশই গরহাজির। সতেরো জনের মধ্যে ১৪ জন ।

Advertisement

প্রত্যাশিত ভাবেই শুক্রবার দুপুরের ওই অনুষ্ঠান শেষে কলেজের অন্দরে প্রশ্ন ওঠে, পুরস্কার নিতে কেন এলেন না কৃতীরা? কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায় জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “প্রত্যেক বছরই উপস্থিতির হার কম থাকে। বরং এ বারই বেশি ছাত্রছাত্রী এসেছেন। এঁরা তো পাশ করে কলেজ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তাই যোগাযোগ করতে কিছু সমস্যা হয়েছিল। এর অন্য কোনও কারণ খোঁজা ঠিক নয়।”

কিন্তু এর মধ্যে অন্য কারণও খুঁজেছেন কেউ কেউ। অধ্যক্ষার দাবির পাল্টা হিসেবে কলেজের একাধিক শিক্ষক ও ছাত্র জানান, বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষে প্রত্যেক বছরই ২৬ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ। অন্যান্য বার পুরস্কার-প্রাপকদের প্রায় ৭০ শতাংশ হাজির থাকেন। এ বার উপস্থিতির হার ছিল বড় জোর ৩০-৩৫ শতাংশ। একই ভাবে, অনুষ্ঠান দেখতে এ বার শিক্ষক-ছাত্রদের অনুপস্থিতি ও অনীহাও নজর এড়ায়নি। প্রেক্ষাগৃহ ভরাতে শেষ পর্যন্ত আসরে নামতে হয় তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদকে। কলেজের একাংশের ধারণা, যাদবপুর-কাণ্ডে অভিজিৎবাবুর ভূমিকা নিয়ে শিক্ষামহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হয়তো তাই অনেকে আসেননি। উপাচার্য বিদ্যাসাগর কলেজে গেলেও যাদবপুরের পথ মাড়াননি। তবে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে প্রায় একই রকম অচলাবস্থা থেকেছে ক্যাম্পাসে। প্রায় সারাদিন ধরে পড়ুয়ারা বিক্ষিপ্ত ভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের ক্লাস বয়কটও চলেছে যথারীতি।

Advertisement

গতকাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এ দিন থেকেই নতুন ব্যবস্থা চালু হবে। কিন্তু এ দিনও পরিচয়পত্র না দেখিয়েই অবাধে ক্যাম্পাসে ঢোকা গিয়েছে। কর্তৃপক্ষের নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবিতে এ দিন শিক্ষক সংগঠন জুটা অবস্থান করে। তাদের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ মেনে বিজ্ঞপ্তি জারির আগে এগজিকিউটিভ কাউন্সিল, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেননি কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের পদত্যাগ-সহ বেশ কয়েকটি দাবিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দেয় তারা। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে যাদবপুর সংহতি মঞ্চের পক্ষ থেকে একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে গড়িয়ায় শেষ হয়।

রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে আজ ফের দেখা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি বলেন, “যাদবপুরে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর জন্য রাজ্যপাল ফের আবেদন জানিয়েছেন। ছাত্রছাত্রীদের বলতে চাই, উৎসব এসে গিয়েছে, তাতে যোগ দিন। ক্লাস বয়কট করবেন না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement