আলু কিনে মজুত করবে না রাজ্য, দামের নীতিও অধরা

ইদানীং ফি-বছরই আলু নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। তাই সরকারের তরফে সরাসরি আলু কিনে হিমঘরে মজুত রাখার খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল কৃষি বিপণন দফতর। সোমবার শীর্ষ বৈঠকে তা তো খারিজ হয়ে গিয়েছেই। আলুর দাম বাঁধতে রাজ্য কী নীতি নেবে, তার কোনও সমাধানসূত্রও মেলেনি ওই বৈঠকে। আলুর লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে একটি দীর্ঘমেয়াদি নীতি ঠিক করার জন্য মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র এ দিন ওই বৈঠক ডেকেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৫৯
Share:

ইদানীং ফি-বছরই আলু নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। তাই সরকারের তরফে সরাসরি আলু কিনে হিমঘরে মজুত রাখার খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল কৃষি বিপণন দফতর। সোমবার শীর্ষ বৈঠকে তা তো খারিজ হয়ে গিয়েছেই। আলুর দাম বাঁধতে রাজ্য কী নীতি নেবে, তার কোনও সমাধানসূত্রও মেলেনি ওই বৈঠকে।

Advertisement

আলুর লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে একটি দীর্ঘমেয়াদি নীতি ঠিক করার জন্য মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র এ দিন ওই বৈঠক ডেকেছিলেন। উপস্থিত ছিলেন সচিব স্তরের বিভিন্ন অফিসার। বৈঠকে কৃষি বিপণন দফতর প্রস্তাব দেয়, হিমঘরগুলিতে সরকারের হাতে আলু মজুত থাকলে প্রয়োজনমতো তা বাজারে ছেড়ে দামে লাগাম টানা যাবে। কিন্তু এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সরকার কোনও মতেই নিজেরা আলু কিনে হিমঘরে রাখবে না। তা হলে বিকল্প কী? সদুত্তর মেলেনি নবান্নে।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাজ্যের আর্থিক দুরবস্থার কথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিভিন্ন সভায় বারবার বলছেন। এই অবস্থায় হিমঘরে আলু মজুত রাখার জন্য বিপুল টাকা সরকার কোথা থেকে পাবে, সেই প্রশ্ন ওঠে বৈঠকে। সরকার যে-দামে আলু কিনে হিমঘরে রাখবে, কোনও কারণে দাম কমে গেলে সেই লোকসানের বোঝা যে সরকারকেই বহন করতে হবে, ওঠে সেই প্রসঙ্গও। মজুতের প্রস্তাব থেকে সরকার পিছিয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি আগামী বছরেও আলুর দাম এমনই লাগামছাড়া হবে?

Advertisement

নবান্নের এক কর্তা বলেন, “সম্ভাব্য পরিস্থিতির মোকাবিলা নিয়েও এ দিন আলোচনা হয়েছে। যেমন, সরকার নিজে টাকা না-ঢেলে অন্য কোনও ভাবে হিমঘরে মজুত আলুর কিছুটা আটকে রাখতে পারে কি না, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তার জন্য কৃষি বিপণন দফতরকে বিকল্প প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।”

কৃষি বিপণন দফতর সূত্রের খবর, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ বা হিমাচলের মতো রাজ্যে চলতি মরসুমে কেমন আলু চাষ হচ্ছে, তার উৎপাদনশীলতা কত দাঁড়াতে পারে, সেই সব তথ্য জোগাড় করে তারা বিকল্প প্রস্তাব পেশ করবে মুখ্যসচিবের কাছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement