ভোটের দিন শাসক দলের তাণ্ডব রুখতে দলীয় কর্মীদের প্রতিরোধের আহ্বান জানালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার বারুইপুরে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সভায় বুদ্ধবাবু বলেন, “গত কয়েক দফার নির্বাচনে ওরা (শাসক দল) গন্ডগোল করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সব কিছু জানিয়েছি। তা সত্ত্বেও শুধু ঘরে বসে থাকলে হবে না। নির্বাচনের দিন গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করলে প্রতিরোধ করতে হবে। হাজার হাজার মানুষ প্রতিরোধ করলে ওরা (শাসক দল) পিছু হটতে বাধ্য হবে। আপনারা এখন থেকে প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত হন।” এর আগে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুও ভোটের দিন বাধা পেলে ভোটারদের রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চারটি আসনই তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বুদ্ধবাবু। জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উল্লেখ করতে গিয়ে ভাঙড়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন বুদ্ধবাবু। তিনি বলেন, “ভাঙড়ে কী হচ্ছে, তা আমি জানি। আপনারাও জানেন।” উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল নির্বাচনের দিন বর্ধমান জেলার ভাতার, মঙ্গলকোট, কাঁকসা, রায়না ও গলসি এলাকায় শাসক দলের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে মহিলা প্রতিরোধ করেছিলেন। কয়েক জন মহিলা শাসক দলের হাতে আক্রান্তও হয়েছিলেন।
সেক্ষেত্রে কিছুটা হলে পিছু হটেছিল হামলাকারীরা। সেই কারণেই আগামী দু’দফার নির্বাচনে কমিশনের উপর আস্থা বজায় রেখেও প্রতিরোধের পথে যাওয়ার জন্য বুদ্ধবাবু পরামর্শ দিয়েছেন বলে মনে করছেন সিপিএমের একাংশ। রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর এক সদস্য জানান, আজ, বুধবার ভোটের দিন সকাল থেকেই দলীয় কর্মীদের শাসক দলের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভোটের দিন করণীয় বিষয় নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি, এ দিন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরব ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। অসমের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর অভিযোগ, মোদী সেখানে বক্তৃতা করে আসার পরেই, জাতিদাঙ্গা শুরু হয়। বুদ্ধবাবুর কথায়, “ওই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরই নানা জায়গায় দাঙ্গা বেঁধে গিয়েছে। উনি ভয়ঙ্কর মানুষ। খুব বড় বিপদ আসছে। আপনার বিজেপি থেকে দূরে থাকুন।”