দোলের রংবাজিতে শীত-স্মৃতির সঙ্গত

সকাল থেকেই ঝকঝকে রোদ। কিন্তু সেই তেজটা উধাও। একটা হিমেল ঠান্ডা হাওয়া বইছে চার পাশে। বেলা গড়াল। তবে সেই ঠান্ডা ভাবটা উধাও হল না। বসন্তের রংবাজিতে তাল মেলাল বিদায়ী শীতের আমেজ। ফাল্গুনের সূচনাতেই গরমে নাকাল হচ্ছিলেন দক্ষিণবঙ্গবাসী। চলতি সময়ের স্বাভাবিকের তুলনায় তিন-চার ডিগ্রি উপরে চলে যাচ্ছিল পারদ। দোলের আগেই কলকাতা জুড়ে গরমের দাপট শুরু হবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনাও। কিন্তু মঙ্গলবার রাত আর বুধবার সকালের বৃষ্টিতে আচমকাই উধাও হয়ে যায় সেই শুকনো গরম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৫ ০২:২৭
Share:

সকাল থেকেই ঝকঝকে রোদ। কিন্তু সেই তেজটা উধাও। একটা হিমেল ঠান্ডা হাওয়া বইছে চার পাশে। বেলা গড়াল। তবে সেই ঠান্ডা ভাবটা উধাও হল না। বসন্তের রংবাজিতে তাল মেলাল বিদায়ী শীতের আমেজ।

Advertisement

ফাল্গুনের সূচনাতেই গরমে নাকাল হচ্ছিলেন দক্ষিণবঙ্গবাসী। চলতি সময়ের স্বাভাবিকের তুলনায় তিন-চার ডিগ্রি উপরে চলে যাচ্ছিল পারদ। দোলের আগেই কলকাতা জুড়ে গরমের দাপট শুরু হবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনাও। কিন্তু মঙ্গলবার রাত আর বুধবার সকালের বৃষ্টিতে আচমকাই উধাও হয়ে যায় সেই শুকনো গরম। সেই বর্ষণ অবশ্য বসন্তের আবহে অন্তর্ঘাত ঘটায়নি। বরং তার দৌলতে একটা ঠান্ডা-ভাব বসন্তের মেজাজ রঙিনতর করে দেয়!

আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, মধ্য ভারতে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবেই এই বৃষ্টি। তার জেরেই তাপমাত্রা কিছুটা কমে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ সময়ের স্বাভাবিক। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটেয় ২৯ ডিগ্রি পেরোয়নি কলকাতার পারদ।

Advertisement

শুধু কলকাতা নয়, আবহাওয়া মনোরম ছিল বোলপুর, আসানসোল, বাঁকুড়া, দিঘা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব প্রান্তেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শ্রীনিকেতনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই সময়ে সেখানে স্বাভাবিক। দিনে আকাশ পরিষ্কার থাকায় ঝকঝকে রোদ মিলেছে। সন্ধ্যার পরে বাতাসে একটা মোলায়েম ঠান্ডার পরশও মালুম হয়েছে। “বসন্তোৎসবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া পুরোদমে সঙ্গত করেছে,” বলেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ।

বর্ষণ ও বসন্তের যুগলবন্দিতে দোলযাত্রা যতই দিলখুশ হয়ে উঠুক, গরমের এই আচমকা ছন্দপতনে কিন্তু সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসক ও পরজীবী বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা বলছেন, শীত পেরিয়ে বসন্ত সমাগমের এই সময়টায় পরজীবীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। সর্দি, জ্বর, কাশির মতো নানা রোগ দেখা দেয়। সেই সঙ্গে এ বছর দাপট চলছে সোয়াইন ফ্লু-র। পরজীবী বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তাপমাত্রা যত বাড়ে, ততই পরজীবীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে থাকে। অসহ্য গরমের এই এক উপযোগিতা। এ বার মার্চের গোড়ায় তাপমাত্রা শনৈ শনৈ বাড়তে দেখে পরজীবীদের রমরমায় লাগাম পড়বে বলে আশা করেছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু ফের আবহাওয়ার এই ঠান্ডা মেজাজ দেখে পরজীবীদের সক্রিয় হয়ে ওঠার আশঙ্কাই করছেন তাঁরা।

ক’দিন থাকবে এই ঠান্ডা মেজাজ?

আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা বলছেন, আরও অন্তত তিন দিন গরম তেমন মিলবে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার নীচেই থাকবে। তবে আগামী সপ্তাহের গোড়া থেকেই ফের হাওয়ার মেজাজ বদলাবে। তাপমাত্রাও বাড়তে শুরু করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন