দক্ষিণের কড়চা

কয়েকটি ছোটগল্প, কবিতা, সঙ্গে কৌতুক। খেলাধুলো, চিঠির থলি, ব্যক্তিগত ডায়েরির পাতা। ঝর্ণাকলমে আর্টপেপারে লিখে বের হল প্রথম সংখ্যা। সঙ্গে সাদা-কালো ফোটোগ্রাফ আঠা দিয়ে সাঁটা। সে কি আজকের কথা! সেই ১৯৪০ সালে পুরুলিয়া শহরে জন্ম বিশ্বদীপ নামে হাতে লেখা পত্রিকাটির। স্থানীয় বিএফ ক্লাবের কয়েক জন সাহিত্যানুরাগীর উৎসাহে। প্রথম সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছিল, ‘বিশ্ব তোমার দীপের আলো, সকল লোকের ঘুম ভাঙালো, নব বরষের সুপ্রভাতে, তোমার আলোর রঙিন নেশায় কিশোর এখন ঐ যে যায়।’ সংখ্যাটি সম্পাদনা করেছিলেন সবিতারঞ্জন রায়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০৫
Share:

সাড়ে-চুয়াত্তর

Advertisement

হাতে-লেখা

কয়েকটি ছোটগল্প, কবিতা, সঙ্গে কৌতুক। খেলাধুলো, চিঠির থলি, ব্যক্তিগত ডায়েরির পাতা। ঝর্ণাকলমে আর্টপেপারে লিখে বের হল প্রথম সংখ্যা। সঙ্গে সাদা-কালো ফোটোগ্রাফ আঠা দিয়ে সাঁটা।

Advertisement

সে কি আজকের কথা! সেই ১৯৪০ সালে পুরুলিয়া শহরে জন্ম বিশ্বদীপ নামে হাতে লেখা পত্রিকাটির। স্থানীয় বিএফ ক্লাবের কয়েক জন সাহিত্যানুরাগীর উৎসাহে। প্রথম সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছিল, ‘বিশ্ব তোমার দীপের আলো, সকল লোকের ঘুম ভাঙালো, নব বরষের সুপ্রভাতে, তোমার আলোর রঙিন নেশায় কিশোর এখন ঐ যে যায়।’ সংখ্যাটি সম্পাদনা করেছিলেন সবিতারঞ্জন রায়।

পরের বছর ৩০ জানুয়ারি জনৈক গৌরী বসু নামে পত্রিকায় চিঠি লিখছেন, ‘মন্দ কী। অল্প অল্প লিখতে লিখতে যদি লেখার নেশাটা আসে, সেটা কি খুব খারাপ। আজ যারা ছোট তারা যখন বড় হবে তাদের শিশু হাতের লেখা যখন আবার একটু বড় হয়ে পড়বে তখন দেখবে কত আনন্দ হবে। লেখার দিক দিয়ে হয়তো নাও হতে পারে। তবে কোনও এক অসতর্ক মুহূর্তে ছেলেবেলার স্মৃতিগুলো বার কয়েকের জন্য ঘুরপাক খেয়ে মিলিয়ে যাবে।’

শুধু সাহিত্য নয়। এলাকার খেলাধুলোর খবরাখবরও থাকত। ১৯৪৮-এ নবম সংখ্যায় খবর— মানভূম স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনায় পুরুলিয়ায় ফুটবল লিগ আরম্ভ হল। খেলছে টাউন ক্লাব, বিএফসি, মুসলেম স্পোর্টিং, সিওয়াইএমএ, মিলনী সঙ্ঘ, হরিজন এফসি, পেটকো এফসি। বছরের পর বছর প্রভূত উৎসাহে এবং শ্রমে এই কাজটা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১৯৬০ সালে সম্পাদক লিখছেন, ‘এ বারে বিশ্বদীপ প্রকাশ করতে কিছু দেরি হল। সকলেই জানেন হাতের লেখা পত্রিকা প্রকাশ করা কী পরিমাণ পরিশ্রম সাপেক্ষ।’ রেখা-রঙে সেজে উঠলে ক্লাবের গ্রন্থাগারে রেখে দেওয়া হয় পত্রিকা। সেই পরিশ্রমে আজও ঘাটতি নেই। ২০১৪-য় যখন হাতে লেখা যা কিছু— পোস্টকার্ড থেকে পাণ্ডুলিপি সবই উঠে যাওয়ার জোগাড়, ই-মেল আর কি-বোর্ড দখল করে নিয়েছে বিশ্ব, হাত থামেনি বিশ্বদীপের। এ বছর ভাইফোঁটায় প্রকাশিত হয়েছে সবর্শেষ সংখ্যা। “নয়-নয় করে ৭৪ বছর ধরে কাগজ চলছে। প্রথম দিকে বছরে একটি করে সংখ্যা প্রকাশিত হত। পরে এক সময়ে বছরে দু’টি করে বেরোত। এখন আবার একটা করে। অল্প-অল্প করে লিখি। আগে ক্লাবের কত সদস্য বলত, আমায় দাও লিখে দিচ্ছি। সেই দিনকাল আর নেই। এখন লেখার লোক তেমন পাই না। তবু যতদিন শরীর দেবে চেষ্টা করব”— বলেন গত দশ বছর সম্পাদকের গুরুভার বহন করে আসা ষাটোার্ধ্ব উদয়ন হাজরা। সম্পাদক হলে কী হবে, পত্রিকার চেয়ে তিনিও দশ বছরের ছোট!

পরের বছরই হীরকজয়ন্তী। তার পর শতবর্ষের দিকে চলা শুরু।

(পত্রিকা থেকে উদ্ধৃত লেখার বানান অপরিবর্তিত)

পটের মায়ায়

গ্রামের নিকোনো উঠোন পেরিয়ে পটের ছবি বিশ্বের আঙিনায় পৌঁছেছে আগেই। বার্ষিক মেলায় গাঁয়ের সেই আঙিনাতেই ভিড় করলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। ১৪ নভেম্বর শুরু হয়ে পিংলার নয়া গ্রামে হয়ে গেল তিন দিনের মেলা। পশ্চিম মেদিনীপুরের এই গ্রামটি ‘পটের গ্রাম’ বলেই পরিচিত। এই গ্রামের সারাবছরের প্রধান উৎসব এই মেলা, ‘পটমায়া’ই। তবে নয়ার এই দিনবদল একদিনে হয়নি। একসময় মনু, স্বর্ণ, বাহাদুর, মন্টু চিত্রকরের মতো শিল্পীদের পটের গান শুনিয়ে বেড়াতে হতো। তবে কলকাতার একটি সংস্থার উদ্যোগে তাঁদের শিল্পকর্ম দেশ-বিদেশে পরিচিতি পায়। এখন শুধু পট নয়, ইয়াকুব, মৌসুমী পটুয়ারা নিজের বাড়ির আঙিনাতেই সাজিয়ে বসেন ল্যাম্পশেড, টি-শার্ট, শাড়ি, ছাতা।

সবকিছুতেই পটের নকশা। এই মেলার বিকিকিনির জোরেই সমৃদ্ধ হন একসময়ের দরিদ্র পটুয়ারা। এ বার শিশু দিবসে মেলার শুরু হওয়ায় শিশুদের অধিকার, শিক্ষা, জীবনকে মেলায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। মেলায় ছিল নাটক, গান-সহ নানা অনুষ্ঠান। গানের অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন গোলাম ফকির। মেলায় রোজই ছিল নানা কর্মশালা। কীভাবে রাসায়নিক ব্যবহার না করে রং তৈরি করা যায়, পটুয়ারা তা তুলে ধরেন সকলের সামনে। মেলায় আসা সকলের কাছেই ছিল কর্মশালায় যোগ দেওয়ার সুযোগ। সেজেছিল গ্রামের ঘর-বাড়িও। পটের সাজে সারা গ্রামই এখন যেন আস্ত একটা ক্যানভাস।

মনের রঙে

মাটিতে ছড়ানো-ছেটানো একগুচ্ছ তারা। কেউ ছবি আঁকছে, কেউ রঙ্গোলি, কেউ মেহদির আল্পনা। রবিবার সকালে পুরুলিয়া শহরের নেতাজি সুভাষ পার্কে ‘পুরুলিয়া আর্টমেলা-২০১৪’ প্রতিযোগিতার থিমও ছিল— ‘তারে জমিন পর’। উদ্যোক্তা শহরেরই একটি ক্লাব। তার মুখপাত্র সঞ্জয় কাটারুকা জানালেন, বসে আঁকো, রঙ্গোলি, মেহেদি, কোলাজ-সহ নানা বিভাগে সাতশোরও বেশি প্রতিযোগী যোগ দিয়েছেন। একেবারে খুদে থেকে বড়রাও তাতে সামিল। প্রতিযোগীদের আঁকা থেকে বাছাই করে কোনও পত্রিকা বা ক্যালেন্ডার করার ইচ্ছে রয়েছে বলেও জানালেন তিনি।

অন্য অযান্ত্রিক

মা থাকেন বৃদ্ধাশ্রমে। ছেলের সঙ্গে দেখা হয় না। শুধু কথা হয় মোবাইলে। ফোনটাকে মাথার কাছে নিয়ে শুতে যান বৃদ্ধা। এক সময়ে ওই মোবাইলকেই যেন ছেলে ভাবতে শুরু করেন তিনি। পুজোয় ছেলে আসে না। মোবাইলের জন্য কেনা হয় নতুন ‘কভার’। এই ভাবেই যন্ত্রের সঙ্গে মানুষের মানবিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার কথা শুনিয়ে গেলেন স্বপ্নময় চক্রবর্তী। সেই সম্পর্কে রাগ-অভিমান যেমন আছে, তেমনই আছে ভালবাসাও। রবিবার নিজেদের ভবনেই দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী (মাস্টারমশাই) স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেছিল কৃষ্ণনগরের শ্রীরামকৃষ্ণ পাঠাগার। বিষয় ছিল যুক্তি, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের প্রসার। লেখক তাঁর বক্তব্যে তুলে আনেন— সেই কবে থেকে প্রযুক্তির ব্যবহার মানবজীবনকে নদীর স্রোতের মতো সহজ অথচ গতিশীল করে তুলেছে। প্রযুক্তি আঁকড়ে মানুষ কখনও হেসেছে, কখনও কেঁদেছে, অভিমান করেছে। ঘাত-প্রতিঘাতের টানাপড়েনে মানুষের সঙ্গে যন্ত্রের তৈরি হয়েছে এক জটিল সম্পর্ক। সুবোধ ঘোষের ‘অযান্ত্রিক’ গল্পে জগদ্দল গাড়িটার সঙ্গে তার চালক বিমলের ভালবাসার কথা মনে পড়িয়ে দেয় না?

নিপাতনে সন্ধি

পত্রিকার নাম সময় ও সন্ধিক্ষণ। প্রকাশিত হয় পুরুলিয়ার এক অখ্যাত গ্রাম ঢাকশিলা থেকে। সাধারণ ভাবে এ ধরনের পত্রিকা যেমন বিবিধ গল্প-উপন্যাস-কবিতার হাতমকশোয় ভরে থাকে, এ পত্রিকাটি প্রথম থেকেই তার উল্টো রাস্তায় হেঁটেছে। গোড়াতেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে বিষয়ভিত্তিক বিশেষ সংখ্যার উপরে। যেমন বিশেষ লোকসংস্কৃতি সংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে প্রথমেই বিশেষ প্রবন্ধ, মহাশ্বেতা দেবীর ‘চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক না দাস’। এ ছাড়া আছে বাহা বঙ্গা পরব, ঢেঁকিমঙ্গল, বাঁদনা পরব, পুরুলিয়ায় প্রাপ্ত নতুন সূর্য-প্রতিমা ইত্যাদি বিষয়ে নেপালচন্দ্র মুর্মু, ফাগু হাঁসদা, অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়, দিব্যেন্দুশেখর দাস, গিরীন্দ্রশেখর চক্রবর্তী, দুর্গা চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের লেখা। পত্রিকার সম্পাদক ঝুমুরশিল্পী মাধবচন্দ্র মণ্ডল। সঙ্গের প্রচ্ছদে দেউলির হারুপ বাঁধে পাওয়া দুর্লভ প্রত্নমূর্তি।

প্রগতির গাবো

সিরিয়াস বাংলা পত্রপত্রিকায় ছোটদের লেখা খুব কমই প্রকাশিত হয়। অশোকনগর থেকে প্রকাশিত প্রগতি সে দিক থেকে একটি ব্যতিক্রম। কবিতা-ছড়ার ক্ষেত্রে নবনীতা দেবসেন বা কৃষ্ণা বসুদের মতো প্রতিষ্ঠিত কবিদের পাশেই রয়েছে পঞ্চম শ্রেণির উদিতা বা একাদশ শ্রেণির অর্ঘ্য। তবে ‘ছোটদের ছড়া ও কবিতা’ শিরোনামটি খানিক বিপথগামী বলে মনে হতেই পারে, যেহেতু সেখানে কৈশোর বা প্রথম যৌবনের মান-অভিমানের হদিস দেয় ‘দ্য সলিটরি রুম’ বা ‘নৌকা বাড়ি’-র মতো কবিতাগুলি। পত্রিকার এবারের ক্রোড়পত্র গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ ওরফে গাবো। রয়েছে দু’টি নিবন্ধ এবং মার্কেজের একটি কবিতা ও চিঠির অনুবাদ। তবে বাংলায় তর্জমা কোন সূত্রে থেকে করা হয়েছে, তার উল্লখের প্রয়োজন ছিল। সংযোজনে রয়েছে মার্কেজের জীবনপঞ্জী। বেশ কিছু মুদ্রণ প্রমাদে চোরকাঁটা বিঁধলেও সে সব উপেক্ষা করে এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলা চলে। সম্পাদক সোফিয়ার রহমান।

সাগরদ্রষ্টা

সাগরদ্বীপকে তিনি চেনেন হাতের তালুর মতো। দ্বীপের গ্রাম থেকে গ্রাম এক সময়ে চষে বেড়িয়েছেন। তন্নতন্ন করে খুঁজেছেন ইতিকথা, ঐতিহ্য, ইতিহাস। তথ্যের সন্ধানে বারবার হানা দিয়েছেন কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। সেই তন্নিষ্ঠ অনুসন্ধানেরই ফসল এগারোটি বই। তার কিছু বাংলায়, কিছু ইংরেজিতে। জগন্নাথ মাইতির জন্ম ১৯২৩ সালে। স্বাধীনতার পরেই মনসাদ্বীপ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম প্রতিষ্ঠা হয়।

তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম। আজীবন শিক্ষকতাও করেছেন সেখানেই। স্বামী সিদ্ধিদানন্দের প্রেরণায় শুরু হয়েছিল তাঁর সাগর অনুসন্ধান। প্রথম বই মহাতীর্থ গঙ্গাসাগর। এর পর একে-একে পুণ্যতীর্থ গঙ্গাসাগর, মন্দিরময় সাগরদ্বীপ, সাগরদ্বীপের পল্লীগ্রাম বা গঙ্গাসাগর, দ্য গ্রেট হোলি প্লেস প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে মন্দিরময় সাগরদ্বীপ বিদ্বজ্জন মহলে প্রামান্য আকর গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ তাঁকে সম্মানিত করেছে। গোটা জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছেন গঙ্গাসাগরের গায়েনবাজারের বাড়িতেই। তবু একানব্বইয়ে পা দেওয়া মানুষটির দাবি, তিনি কিছুই জানেন না। সাগরের তীরে দু’চারটি নুড়ি কুড়িয়েছেন মাত্র!

ললিত

পাঠভবনের খুদে পড়ুয়াদের নাটক নিয়ে মেতে থাকতেন বলে সহকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন ‘নাটুকে ললিত’। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা রবীন্দ্রনাথের ‘মুকুট’ এবং ‘মুক্তধারা’। রবিবার, ১৬ নভেম্বর দুপুরে চলে গেলেন সেই ছাত্রদরদী, নাট্যপ্রেমী শিক্ষক ললিত মজুমদার। সহজ সরল এই মানুষটির জন্ম ১৯২৫ সালের ১৫ মার্চ। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর তিন বছর পরে, ১৯৪৪ সালের ১৯ নভেম্বর বিশ্বভারতীর পাঠভবনে ইংরেজির শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন তিনি। ১৯৫১ এবং ১৯৬১ সালে ছিলেন শান্তিনিকেতন কর্মিমণ্ডলীর সম্পাদক ছিলেন। ‘বিশ্বভারতী নিউজ’-এর সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। ছিলেন পাঠভবনের আশ্রম সম্মিলনীর ছাত্র সঞ্চালকও। ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ তিনি শিক্ষাসত্রের রেক্টর হন। পাঠভবনের সেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপকও ছিলেন দীর্ঘদিন। ওই সময়টায় সন্ধের দিকে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে লণ্ঠন হাতে ললিতবাবুকে হেঁটে পড়াতে যেতে দেখা যেত শান্তিনিকেতনের বনেরপুকুর ডাঙা, বালিপাড়া, গোয়ালপাড়ার মতো নানা গ্রামে। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের সাক্ষর করে তোলার জন্য অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। যে ছাত্রেরা ওই পর্বে তাঁর সঙ্গে মূখ্য ভূমিকায় ছিলেন, তাঁদের এক জন ছাত্র আজকের অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। মঙ্গলবার পাঠভবনের কচিকাঁচাদের নিয়ে শান্তিনিকেতনের বকুলবীথিতে তাঁর শোকসভা অনুষ্ঠিত হল। বক্তব্যে শিক্ষককে স্মরণ করেন তাঁর ছাত্র, পাঠভবনের শিক্ষক কিশোর ভট্টাচার্য। আজ, বুধবার তাঁর স্মরণে শান্তিনিকেতনে উপসনা গৃহে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন