জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ধূপগুড়ি কাণ্ডে ছাত্রীর মৃত্যুকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে দাবি করেছেন। কিন্তু দলের কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না সোমবার ময়নাগুড়িতে প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে বললেন, “ওই ছাত্রী ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছে।” সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, সংবাদ মাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে সিপিএম ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানোর চক্রান্ত করছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে একটি সালিশি সভায় ওই ছাত্রীর বাবাকে নিগ্রহ করা হয়। তার প্রতিবাদ করে ওই ছাত্রী। ওই ছাত্রীকেও তখন নিগ্রহ করা হয়। তাকে মাটিতে থুতু ফেলে চাটানোর ‘ফতোয়া’ পর্যন্ত দেওয়া হয়। ওই সালিশি সভায় ছিলেন ধূপগুড়ির ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নমিতা রায়ের স্বামী চন্দ্রকান্ত রায়ও। পরের দিন কাছেই একটি রেললাইনের উপর থেকে ওই ছাত্রীর বিবস্ত্র দেহ পাওয়া যায়। যদিও তার পর থেকে জেলা তৃণমূল নেতারা দাবি করে আসছেন দশম শ্রেণির ছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে।
এ দিন জেলা কিষান খেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির ডাকে হুসলুরডাঙা বাজার লাগোয়া ময়দানে আয়োজিত জনজাগরণ সমাবেশে দাঁড়িয়ে বেচারামবাবু কিন্তু বলেন, “ধূপগুড়িতে এক ছাত্রী ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছে। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা ঘটনার নিন্দা করছি। কিন্তু ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে।”
এ দিন দলের নেতা তথা কৃষি প্রতিমন্ত্রী ধর্ষণ ও খুনের কথা বলায় বিব্রত হন দলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তাঁর মন্তব্য, “ওই সময় একটু ব্যস্ত থাকায় মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন তা শুনিনি। তবে আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি ঘটনাটি নিন্দনীয়।”
সন্ধ্যায় সভা শেষ করে সৌরভবাবু গিয়ে নিহত ছাত্রীর বাবা ও মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, “মেয়েটির বাবা ও মাকে বলেছি, আমরা আপনাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে পারব না। ওই ঘটনায় যে জড়িত থাকুক না কেন, যেন ছাড়া না পায়, তার চেষ্টা করব।”