নেতাই-কাণ্ডে পাঁচ জন ধৃতের হাজিরা ২৬ শে

নেতাই কাণ্ডে ধৃত পাঁচ সিপিএম নেতা-কর্মীকে আগামী ২৬ মে মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিলেন মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক রাই চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচজনকে জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করা হয়েছিল। ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থসারথি দত্ত, অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী রঘুনাথ ভট্টাচার্য। এ দিন বিচারকের কাছে কোনও পক্ষই লিখিত ভাবে কোনও আবেদন জানায়নি। বরং দু’পক্ষের আইনজীবীরা বিচারককে জানান, আগামী ২৬ মে এই মামলার দিন নির্দিষ্ট রয়েছে। এরপরই বিচারক ওই দিন ধৃতদের মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৪ ০৩:৩১
Share:

মেদিনীপুর আদালতে নেতাই কাণ্ডে ধৃতেরা।

নেতাই কাণ্ডে ধৃত পাঁচ সিপিএম নেতা-কর্মীকে আগামী ২৬ মে মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিলেন মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক রাই চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচজনকে জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করা হয়েছিল। ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থসারথি দত্ত, অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী রঘুনাথ ভট্টাচার্য। এ দিন বিচারকের কাছে কোনও পক্ষই লিখিত ভাবে কোনও আবেদন জানায়নি। বরং দু’পক্ষের আইনজীবীরা বিচারককে জানান, আগামী ২৬ মে এই মামলার দিন নির্দিষ্ট রয়েছে। এরপরই বিচারক ওই দিন ধৃতদের মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

Advertisement

গত সপ্তাহের গোড়ায় এই পাঁচ সিপিএম নেতা-কর্মীকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। দীর্ঘদিন ‘ফেরার’ থাকার পর ধরা পড়েন সিপিএমের ধরমপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক ডালিম পাণ্ডে, লালগড় লোকাল কমিটির সম্পাদক জয়দেব গিরি, রথীন দণ্ডপাট, তপন দে, খলিলুদ্দিন। গ্রেফতার করার পর এঁদের মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করিয়ে একদিনের ট্রানজিট রিমাণ্ডে নেয় সিআইডি। পরে এঁদের ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। ধৃতদের ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদন অবশ্য খারিজ হয়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদনও করেছে সিবিআই। সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে এই মামলার দিন নির্দিষ্ট ছিল। ওই দিনই ঝাড়গ্রামের এসিজেএম কৃষ্ণমুরারি প্রসাদ গুপ্ত ধৃত পাঁচজনকে মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ডালিম পাণ্ডেদের মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক রাই চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির করা হয়। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে আদালত চত্বরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অন্য দিকে, ইতিমধ্যে মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে নেতাই মামলার চার্জগঠন হয়েছে। বিচারপর্ব অর্থাৎ সাক্ষ্যগ্রহণও শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বের সাক্ষ্যগ্রহণে ১০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে আগামী ২৬ মে থেকে। চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। ওই পর্বেও সব মিলিয়ে ১০ জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা।

Advertisement

দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে জেলা ও দায়রা বিচারক আগামী ২৬ মে ধৃতদের মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাইয়ে সিপিএমের ‘সশস্ত্র’ শিবির থেকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। গুলিতে ৪ মহিলা সহ ৯ জন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে আদালতে উল্লেখ করে সিবিআই। ওই বছরের ৪ এপ্রিল ২০ জন সিপিএম নেতা- কর্মীর নামে চার্জশিট দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে আগেই ১২ জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। ৮ জন ‘ফেরার’ ছিলেন। গত সপ্তাহে ৫ জন গ্রেফতার হন। এখনও ‘ফেরার’ রয়েছেন ৩ জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন