বাঁধ রক্ষায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, জানালেন মন্ত্রী

রাজ্যের বিভিন্ন বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ও ভাঙন প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিচ্ছে রাজ্যের সেচ দফতর। গত বছর পূর্ব মেদিনীপুরের গড়পুরুষোত্তমপুরে তিন বার কাঁসাই নদীর বাঁধ ভাঙে। তার পরেই সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন, বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ এবং নদীর ভাঙন প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁধ মেরামতি হয়েছে।

Advertisement

শান্তনু ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৪ ০৫:২১
Share:

পাঁশকুড়ার গড়পুরুষোত্তমপুরে কাঁসাই নদীর বাঁধ পরিদর্শনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।

রাজ্যের বিভিন্ন বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ও ভাঙন প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিচ্ছে রাজ্যের সেচ দফতর।

Advertisement

গত বছর পূর্ব মেদিনীপুরের গড়পুরুষোত্তমপুরে তিন বার কাঁসাই নদীর বাঁধ ভাঙে। তার পরেই সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন, বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ এবং নদীর ভাঙন প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁধ মেরামতি হয়েছে। রূপনারায়ণের পিরতলা বাঁধের ক্ষেত্রে বেসু ও ঘাটালে বাঁধ বাঁচাতে আইআইটি খড়গপুরের বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ, সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়রদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়া হচ্ছে। তারা মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, হাওড়া-সহ কিছু বন্যা কবলিত এবং ভাঙনপ্রবণ জেলায় বিশেষ নজর দেবে।

সোমবার মেদিনীপুর শহর লাগোয়া মোহনপুরের কাছে অ্যানিকেত-বাঁধের কাজের গতি দেখে বিরক্ত হন সেচমন্ত্রী। ওই কাজের ১০০ কোটিরও বেশি বরাদ্দ হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “কাজ দু’তিন মাস পিছিয়ে। এ ভাবে এগোলে কাউকে রেয়াত করব না।” বাঁধ সংস্কারের কাজ করছে রাজ্যেরই সংস্থা ম্যাকিনটস বার্ন। সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার উপস্থিতিতে মেদিনীপুরে ওই সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “বৈঠকে কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।”

Advertisement

সেচমন্ত্রী জানান, বাঁধগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখা এবং নদীর পাড় ভাঙন দেখার জন্য চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের নিয়ে সাইকেল বাহিনী গড়া হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট ডিভিশনকে রিপোর্টও দিচ্ছে। কিন্তু আরও ভাল ভাবে কাজ করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়, সেচ দফতরের কর্মীদের নিয়ে এক কমিটি হচ্ছে। মন্ত্রীর মতে, বাম আমলে অঙ্ক না কষেই ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ হয়েছিল। ফলে গঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন তা বাতিল করে। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল ১৯৮০ কোটি টাকা। নতুন করে যে প্রকল্প হয়েছে, তাতে খরচ কমে হয়েছে ১৫৬০ কোটি। তার ৭৫% যাতে কেন্দ্র দেয়, তার চেষ্টা হবে।

(সহ-প্রতিবেদন: বরুণ দে ও আনন্দ মণ্ডল)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন