কাজ করতে গিয়ে হামলাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছে না পুলিশ। দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে আবার আক্রান্ত হল তারা। এ বার আর মারধর নয়, একেবারে বোমা। বুধবার রাতে চন্দননগরের কেএমডিএ পার্কের কাছে ওই ঘটনায় জখম তিন পুলিশকর্মী আহত হন। তাঁরা হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আক্রান্ত হয়েও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেই ফিরেছে পুলিশ। ওই দুষ্কৃতীর হাতে বোমা ফেটে যায়।
হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রের খবর, আহত ও ধৃত দুষ্কৃতীর নাম প্রসেনজিৎ কর্মকার। তার বিরুদ্ধে হাওড়া শহর এলাকায় অন্তত চারটি পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি, তোলাবাজি এবং এক জন প্রোমোটারকে খুনের অভিযোগ আছে। হাওড়ার গোয়েন্দারা তাকে অনেক দিন ধরে খুঁজছিলেন। সে চন্দননগরে আছে বলে খবর পেয়ে তিন পুলিশকর্মী রাতে সেখানে হানা দেন। তাঁদের নাম পিকলু ঘোষ, সুরজিৎ দেবনাথ, সুদীপ্ত পাণিগ্রাহী।
পুলিশ জানায়, কেএমডিএ পার্কের কাছে তিন সঙ্গীকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রসেনজিৎ। পুলিশ আসতে দেখেই তারা বোমা ছুড়তে শুরু করে। বোমায় জখম তিন পুলিশকর্মী ধরে ফেলেন প্রসেনজিৎকে। হাতে বোমা ফেটে ওই দুষ্কৃতী কাতরাচ্ছিল। তাকে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।