বনগাঁর উপনির্বাচনে ড্রোনের নজরদারি

শুধু পুলিশ বা আধাসেনা নয়। নির্বাচনী নজরদারিতে এ বার ড্রোন-কেও কাজে লাগানো হচ্ছে। এবং ড্রোনের এই নতুন ভূমিকার সূচনা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেই। ১৩ ফেব্রুয়ারি বনগাঁ লোকসভা আসনের অন্তত পাঁচটি স্পর্শকাতার বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট প্রক্রিয়ায় নজরে রাখবে মনুষ্যহীন ওই উড়ান। যা এই দেশে প্রথম বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আকাশপথে নজরদারির সঙ্গে সঙ্গে ওই লোকসভা কেন্দ্রে থাকবে ৮০ কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনী। মূলত তাদের হাতেই থাকবে ভোটকেন্দ্রের এবং তার বাইরের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৩০
Share:

শুধু পুলিশ বা আধাসেনা নয়। নির্বাচনী নজরদারিতে এ বার ড্রোন-কেও কাজে লাগানো হচ্ছে। এবং ড্রোনের এই নতুন ভূমিকার সূচনা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেই।

Advertisement

১৩ ফেব্রুয়ারি বনগাঁ লোকসভা আসনের অন্তত পাঁচটি স্পর্শকাতার বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট প্রক্রিয়ায় নজরে রাখবে মনুষ্যহীন ওই উড়ান। যা এই দেশে প্রথম বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আকাশপথে নজরদারির সঙ্গে সঙ্গে ওই লোকসভা কেন্দ্রে থাকবে ৮০ কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনী। মূলত তাদের হাতেই থাকবে ভোটকেন্দ্রের এবং তার বাইরের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব।

কী কাজ করবে ড্রোন?

Advertisement

কমিশন বলছে, ড্রোনে লাগানো থাকে ভিডিও ক্যামেরা। নির্বাচনের দিন যেখান থেকে গোলমালের খবর আসবে, সেখানে পাঠানো হবে ওই উড়ান। ড্রোনের ক্যামেরা ছবি তুলে তৎক্ষণাৎ পাঠিয়ে দেবে কন্ট্রোল রুমে। সেই ছবি দেখে পর্যবেক্ষক বা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত অফিসারেরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

রাজ্য প্রশাসনের অনেকেই মনে করছেন, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ঠিক কী ধরনের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রাখা হবে, তার মহড়া শুরু হল বনগাঁর উপনির্বাচন দিয়ে। ১৩ তারিখে বনগাঁয় চার-পাঁচটি ড্রোন ব্যবহার করবে কমিশন।

নবান্নের খবর, বনগাঁ লোকসভা ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। তার মধ্যে কৃষ্ণগঞ্জে থাকবে ২০ কোম্পানি। কমিশনের হিসেব অনুযায়ী বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ১৮৬৩টি বুথে পাহারায় থাকবেন আট হাজার জওয়ান। আর কৃষ্ণগঞ্জে ২৮৮টি বুথের জন্য দু’হাজার জওয়ানের ব্যবস্থা হচ্ছে। কমিশন সূত্রের খবর, ভোটের আট দিন আগেই, ৫ ফেব্রুয়ারি আধাসেনা পৌঁছে যাবে ওই দুই কেন্দ্রে। এবং সে-দিনই শুরু হয়ে যাবে রুট মার্চ। নবান্নের এক কর্তার কথায়, রাজ্য পুলিশকে কার্যত ব্রাত্য করে রেখেই ভোট করাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

ড্রোন ছাড়াও উপনির্বাচনে ব্যবহার করা হবে মোবাইল ভিডিও ক্যামেরা। থাকবে ওয়েব ও স্টিল ক্যামেরা। প্রতিটি বুথে থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভার। ভোটের দিনের জন্য কমিশন যে-ব্যবস্থা করেছে, সোমবার নদিয়ার গয়েশপুরে এক নির্বাচনী সভায় সেই বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এ রাজ্যে বিজেপি-র পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। তিনি বলেন, “বনগাঁ উপনির্বাচনে ১০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। রাজ্যের পুলিশ থাকবে বুথের ২০০ মিটার দূরে। তাই নির্ভয়ে ভোট দিন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন