যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন অভিজিৎ চক্রবর্তীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতা নিয়ে হাজারো অভিযোগ উঠেছিল। এ বার অভিযোগে বিদ্ধ সেখানকার সহ-উপাচার্য আশিসস্বরূপ বর্মা। ওই পদে বসার ন্যূনতম যোগ্যতা তাঁর আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল বিধানসভায়।
ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক আলি ইমরান রাম্জ (ভিক্টর) বুধবার বিধানসভায় প্রসঙ্গটি তোলেন। তাঁর অভিযোগ, আশিসবাবুকে ওই পদে বসিয়ে আসলে নিজেদের তৈরি নিয়মই ভেঙেছে রাজ্য সরকার। তৃণমূল সরকারেরই আমলে তৈরি আইন অনুযায়ী অন্তত ১০ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত না-থাকলে সহ-উপাচার্য হওয়া যাবে না। কিন্তু আশিসবাবু ২০০৮ থেকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই তিনি ওই ন্যূনতম শর্ত পূরণ করছেন না। রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর মেয়ের সাতটি প্রকল্পের সুপারভাইজার বলে আশিসবাবুর প্রতি সরকার পক্ষপাতিত্ব করেছে বলেও অভিযোগ ইমরানের।
শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, উপাচার্য থাকাকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি বড় অংশ এবং নিজের অনেক সহকর্মীকেও বিরূপ করে তুলেছিলেন অভিজিৎবাবু। এবং পরিচালন দক্ষতা নিয়ে প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ ছিল। আর ছিল অন্যের গবেষণাপত্র থেকে নকল করার অভিযোগ। ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পরে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। উপাচার্য-পদ ছাড়তে হয় অভিজিৎবাবুকে।
যাদবপুরের নতুন উপাচার্যের খোঁজে সার্চ বা সন্ধান কমিটি গড়া হয়েছে। এর মধ্যেই সহ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল খাস বিধানসভায়। এ দিন ইমরানের অভিযোগের সময় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সভায় ছিলেন না। পরে তিনি বলেন, “কোথাও কোনও ভুল হয়ে থাকলে তাঁরা (অভিযোগকারীরা) লিখিত ভাবে জানান। ওঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরুন। সরকার নিশ্চয়ই দেখবে।” আর আশিসবাবুর দাবি, তিনি দীর্ঘদিন আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছেন। তাই তাঁর যোগ্যতা নিয়ে কোনও রকম সংশয় থাকার কারণ নেই।