রেজ্জাকের ইফতারে ‘না’ হজ হাউসের

ইফতার পার্টির জন্য রীতিমতো টাকাপয়সা দিয়ে হজ হাউস বুক করেছিলেন আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। কিন্তু হঠাৎই সেখানে ইফতারের অনুমতি দিতে বেঁকে বসলেন হজ হাউস কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৪ জুলাই রেজ্জাকের ওই ইফতার আসরে আমন্ত্রিতের তালিকায় সোমেন মিত্র, বিমান বসু, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সীর পাশাপাশি রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সেনাপতি মুকুল রায়ও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৫ ০০:০২
Share:

ইফতার পার্টির জন্য রীতিমতো টাকাপয়সা দিয়ে হজ হাউস বুক করেছিলেন আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। কিন্তু হঠাৎই সেখানে ইফতারের অনুমতি দিতে বেঁকে বসলেন হজ হাউস কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৪ জুলাই রেজ্জাকের ওই ইফতার আসরে আমন্ত্রিতের তালিকায় সোমেন মিত্র, বিমান বসু, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সীর পাশাপাশি রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সেনাপতি মুকুল রায়ও। নিমন্ত্রিতের তালিতায় মুকুলের নাম রয়েছে জানতে পেরেই হজ হাউস কর্তৃপক্ষ রেজ্জাককে ইফতারের অনুমতি দিতে গররাজি হয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যদিও হজ হাউস কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, কোনও রাজনৈতিক দলকে সেখানে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া যায় না।

Advertisement

তবে অনুমতি না পেয়ে ‘ক্ষুব্ধ’ রেজ্জাকের পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘‘ইফতার করতে না দিলে ওই দিন হজ হাউসের সামনে দিলখুশা স্ট্রিটে বসে আমরা ইফতার করব।’’ একই সঙ্গে হজ হাউসের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অগ্রিম টাকা দিয়ে বুকিং করা সত্ত্বেও অন্যায়ভাবে হজ হাউসে ইফতার পার্টি করতে দেওয়া হচ্ছে না। অনুমতি না দেওয়ার ব্যাপারটা লিখিত আকারে দিলে আমরা টাকা ফেরত নিয়ে হজ হাউসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাব।’’

তৃণমূল নেত্রী মমতার সঙ্গে মুকুলের বর্তমান দূরত্বের প্রেক্ষিতেই হজ হাউসে রেজ্জাকদের ইফতারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে ঘনিষ্ঠ মহলে অভিযোগ জানিয়েছেন রেজ্জাক। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রেজ্জাক বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জনগণের টাকায় পার্ক সার্কাস ময়দানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে ইফতার পার্টি করতে পারেন। আর বিরোধী দলের কেউ ইফতার পার্টি করতে গেলে ওঁর যত বিড়ম্বনা!’’

Advertisement

ইফতারের জন্য রেজ্জাকের দল ‘ভারতীয় ন্যায় বিচার পার্টি’ গত ৩ জুলাই ছ’হাজার টাকা দিয়ে হজ হাউস বুক করেছিল। কিন্তু হজ হাউসে ইফতারের অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে হাউসের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম শুক্রবার রেজ্জাকের দলের কার্যকরী সভাপতি সৈয়দ জামিরুল হাসানকে ডেকে জানিয়ে দেন। তিনি জমা দেওয়া অগ্রিম টাকাও ফেরত নিতে বলেন জামিরুলকে। কিন্তু মৌখিকভাবে নয়, লিখিতভাবে অনুমতি না দেওয়ার কথাটা জানালে টাকা ফেরত নেবেন বলে হাজি নুরুলকে জানান জামিরুল।

অনুমতি না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে নুরুল বললেন, ‘‘কোনও রাজনৈতিক দলকে হজ হাউসের হল ভাড়া দেওয়া যায় না। সে জন্যই ভারতীয় ন্যায় বিচার দলের ইফতারেরও অনুমতি দেওয়া যাবে

না বলেছি।’’

তা হলে বুক করার সময়ই কেন রেজ্জাকদের তা জানানো হয়নি? নুরুলের জবাব, ‘‘প্রথমে জামিরুল ইসলাম নিজের নামে ১৪ জুলাই হজ হাউস বুকিং করেন। পরে জানতে পারি, আসলে একটি রাজনৈতিক দলের হল বুকিং করা হয়েছে।’’ অতীতে কোনও রাজনৈতিক দলকে হজ হাউসে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

যদিও রাজ্যের প্রাক্তন সংখ্যালঘু মন্ত্রী তথা হজ হাউসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের বক্তব্য, ‘‘হজ হাউসে অনুষ্ঠান করা নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement