পার্ক সার্কাস ময়দানে সভা করার অনুমতি না পেয়ে এ বার শহিদ মিনার ময়দানে কর্মিসভা করার পরিকল্পনা করছে প্রদেশ কংগ্রেস। আগামী ২৫ মার্চ তারা সেখানে সভা করতে চায়।
সভায় দলের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর উপস্থিত থাকার কথা। শহিদ মিনারের সভার জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী এবং কলকাতা পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর তরফে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলে প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। তবে সরকারি ভাবে আজ, শুক্রবার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা সেনাবাহিনীর। আজ সকাল ১০টায় কংগ্রেস নেতাদের সেনা দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ভোটের কাজে সরকারি জমি ব্যবহার করা যাবে না, নির্বাচন কমিশনের এই নিয়মের কারণে পার্ক সার্কাসে কংগ্রেসকে সভার অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুরসভা। সে জন্য এ বার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন শহিদ মিনারকে সভাস্থল হিসেবে বেছে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। সেনাবাহিনীই এ ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়ার অধিকারী। তবে সভায় রাহুলের মতো ভিআইপি থাকবেন বলে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার বিষয়টি কলকাতা পুলিশ তত্ত্বাবধান করবে। সে জন্যই সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশের অনুমতি চেয়েছে কংগ্রেস। সভা নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন লালবাজারের শীর্ষ-কর্তারা। সভার ব্যাপারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “২৫ তারিখ শহিদ মিনারে আমরা কর্মিসভা করছিই। রাহুল গাঁধী আসবেন।” ওই দিন বেলা ১১টা থেকে সভা শুরুর কথা।
ভোটের কাজে সরকারি জমি ব্যবহারের বিধিনিষেধে বাধা পেলেন শাসক দলের উত্তর কলকাতার প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ৬০টি ওয়ার্ডে (১ থেকে ৫৯ এবং ৬২) পুরসভার বিভিন্ন পার্ক, লাইটপোস্ট এবং অন্যান্য সম্পত্তিতে প্রচারের জন্য ব্যানার, ফ্লেক্স ও পতাকা লাগানোর অনুমতি চেয়েছিলেন সুদীপবাবু। কিন্তু কলকাতা পুরসভা এ দিন তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
পুরসভার এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “নির্বাচন কমিশনের যে আইনের কারণে কংগ্রেস পার্ক সার্কাসে সভার অনুমতি পায়নি, একই কারণে সুদীপবাবুর আর্জিও খারিজ হয়েছে।”