শাসক দলের প্রার্থী তালিকায় সংখ্যালঘু মুখ কম থাকায় প্রশ্ন উঠেছে বলে স্বীকার করছেন দেগঙ্গার তৃণমূল বিধায়ক এম নুরুজ্জমান। তবে তৃণমূল দলীয় নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে সহমত নন।
কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠান ছিল সোমবার।
সেই অনুষ্ঠানে প্রাক্তন আইপিএস নজরুল ইসলাম, সিপিএম থেকে সদ্য বহিষ্কৃত বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা প্রমুখের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এম নুরুজ্জমানও।
সেখানে নজরুল, রেজ্জাক সকলেই অভিযোগ করেন তৃণমূল সরকার সংখ্যালঘুদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। আলোচনা প্রসঙ্গে তাঁরা জানান, বামফ্রন্ট তালিকায় ১২ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী রয়েছেন। তফসিলি জাতি, উপজাতি থকে ১৩ জনকে এ বার বামেরা প্রার্থী করেছেন।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ৭ জন সংখ্যালঘু। বিষয়টি নিয়ে নুরুজ্জমান প্রথমে কোনও মন্তব্য করেননি। পরে এই প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের প্রার্থী তালিকায় সংখ্যালঘু মুখ কম হয়েছে। এটা নিয়ে ক্ষোভ আছে। সংখ্যালঘুরা বিভিন্ন জায়গায় সে কথা বলছেন। আমাদেরও তাঁরা জানিয়েছেন।
আমরা দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখন মানুষ ঠিক করবে, তারা কী করবে!”
ওই অনুষ্ঠানে নুরুজ্জমান দলের অনুমতি নিয়ে গিয়েছিলেন কিনা তা তাঁরা জানবেন বলে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। প্রশ্নের জবাবে পার্থবাবু বলেন, “সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে শুনলাম নুরুজ্জমান কী বলেছেন।” তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, “যদি একথা উনি সত্যি বলে থাকেন, তা হলে উনি কোথার থেকে এ তথ্য পেলেন? কারা কোথায় এমন ক্ষোভের কথা জানাল!”
পার্থবাবুর কথায়, “সংখ্যালঘুদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের প্রশংসা নাখোদা মসজিদের ইমাম বুখারি থেকে টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নুরুর রহমান বরকতি সকলেই করেছেন। এই অবস্থায় নুরুজ্জমান কেন এ কথা বললেন তা ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।”